আ.লীগের পরাজিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে হামলা-মামলার হুমকির অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার ৯ নং ধুলাসার ইউপি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যান হাফেজ কারী আ. রহিম কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, মামলা ও হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রবিবার বেলা ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচিত হবার পর থেকে পটুয়াখালী-৪ আসনের এমপির নাম ভাঙিয়ে এপিএস পরিচয়ধারী তরিকুল মৃধার নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকের সমর্থক হাবিবুর রহমান, পারভেজ, মিলন, চৌকিদার কাওসার মৃধাসহ আরোও কয়েকজন সহিংসতা চালিয়ে আসছে। নৌকা প্রতীকের পরাজয়কে মেনে নিতে না পেরে এমন সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে তরিকুল। এসব কারণে তার পরিবার ও কর্মী সমর্থকরা চরম নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে বলে দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও তিনি বলেন, নির্বাচনের পরের দিন (১৬ জুন) তরিকুল মৃধা তার বাড়িতে গিয়ে নানা প্রকার ভয়-ভীতিসহ মামলা-হামলার হুমকি দিয়েছে। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদে যেতে বারণসহ উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদানের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান হাফেজ কারী আ. রহিম বলেন, নৌকা প্রতীক এবং আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলা ও সহিংসতা চলছে। আর এসবের দায় হাতপাখার সমর্থক ও পরিবারের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফকে ভিকটিম সাজিয়ে তার ছেলে হাফেজ শহিদুল ইসলামসহ ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছে কর্মী-সমর্থকরা।
এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমানসহ ধুলাসার ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসব অভিযোগের বিষয় তরিকুল মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমপি ও তার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য এমন মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। নির্বাচনের পরের দিন এলাকায় ছিলেন না বলে জানান তিনি।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার আবুল খায়ের জানান, সহিংসতার বিষয়ে ধুলাসার ইউনিয়নের হাতাপাখা প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যানের লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/এলএ)