চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ জুন ২০২২, ২১:৪১ | প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২২, ২১:৩৭

চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎই বাড়তে শুরু করেছে করোনা (কোভিড-১৯) শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে ঢাকাসহ সারা দেশের শহরগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করছে জনমনে।

মঙ্গলবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্যমতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর চলতি বছরে ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন পর‌্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৮০৮ জন, যাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, এই মুহূর্তে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১১০ জন রোগী, যাদের মধ্যে শুধু ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০৬ জন।

গত ২০২১ সালের সারা দেশে ২৮ হাজার ৪২৯ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়। আর একই বছর শুধু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০৫ জন বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ সেভাবে ছিল না।

বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ার কারণে বাড়ে মশার প্রজনন। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে লার্ভা ছাড়ে এডিস মশা। ফলে প্রতি বছর এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় বহু গুণ।

গত দুই বছর করোনার মধ্যে শহরাঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেড়েছিল মহামারির মতো। চলতি বর্ষায়ও নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

বর্ষা মৌসুমে নতুন করে ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তবে সংস্থাটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির তথ্য মানতে নারাজ ।

প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রথমেই আমি ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ডেঙ্গু শনাক্তের যে রিপোর্ট দিচ্ছে, সেগুলো বেশির ভাগই সঠিক নয়।’

বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে- এ কথা উল্লেখ করে ফজলে শামসুল কবির বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ যেন না বাড়ে সেটা নিয়ে কাজ করছে। নতুন রোগী শনাক্ত হলে আমরা রোগীর আশপাশের ৩০০ গজের মধ্যে মশার উৎপত্তিস্থল বের করে মশা নিধনের জন্য স্প্রে করি। এ ছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাইকিং করা হচ্ছে।’

ডেঙ্গু মশা নিধনে নিজেদের উদ্যোগের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জোবায়দুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা ডেঙ্গু নিধনে আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিংয়ে যে লার্ভা জমে থাকে, সেগুলো বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে রিহ্যাবের সঙ্গে কথা বলেছি। আগে সেসব জায়গায় ৫০ শতাংশের বেশি ডেঙ্গু লার্ভা পাওয়া যেত, এখন সেটা পাঁচ শতাংশে নেমে এসেছে।’

মশা নিধনে ড্রেন বা জলাধারে কী ধরনের কার‌্যক্রম চালানো হচ্ছে জানতে চাইলে দক্ষিণের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যেখানে ডেঙ্গু মশা লার্ভা ছাড়ে সেখানে নোভা লিউরন নামে একটি ট্যাবলেট ব্যবহার করছি, যেটি ড্রেন বা পানিতে দুই মাস কার‌্যকর। আর জলাশয় ও পানিতে গাপটি মাছ অবমুক্ত করছি। গাপটি মাছ এর আগে আমরা দুবার ছেড়ে সফল হয়েছি।’

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :