হত্যা মামলা: মামুনুল হকসহ ১১০ জনের বিচার শেষ পর্যায়ে

প্রকাশ | ২২ জুন ২০২২, ২২:০৫

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার একটি হত্যা মামলায় আল্লামা মাওলানা মামুনুল হকসহ ১১০ আসামির বিচার শেষ পর্যায়ে এসেছে।

মামলাটিতে শেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) রফিকুল ইসলাম সাক্ষ্য দিচ্ছেন।

বুধবার এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আংশিক জেরা হয়।

ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা ফেরদৌস এ জেরা গ্রহণ করেন। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আগামি ৩ আগষ্ট অবশিষ্ঠ জেরার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

মামুনুল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এতথ্য জানান।

এদিন সকালে মামুনুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। হুইল চেয়ারে করে তাকে আনা হয়। রাখা হয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায়। দুপুর আড়াইটার দিকে হুইল চেয়ারে করে তাকে এজলাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এজলাসে নিয়ে তাকে একটি বেঞ্চে বসার ব্যবস্থা করা হয়।

এদিকে মামুনুল হককে দেখতে আদালতে হাজির হন তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনসহ শিক্ষার্থীরা। তাকে এক পলক দেখতে সকাল থেকেই আদালতপাড়ায় ভিড় জমান তারা। মামলার শুনানিকালে আদালতের বাইরে অপেক্ষা করেন তারা। শুনানি শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষায় ছিলেন।

আইনজীবী মেজবাহ জানান, মামলাটিতে শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।

আল্লামা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মোট ২৯ মামলা রয়েছে। তিনি জানান, মামলার অপর আসামিরা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী।

মামলা থেকে জানা যায়, কোমরের ব্যথায় ভুগছেন মামুনুল হক। হাঁটাচলায় তার সমস্যা হয়। এজন্য তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে আনা হয়।

জানা যায়, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দারুস সালাম থানাধীন কিয়াংসী চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে রাস্তার অপর পাশে মিরপুর থানাধীন ছলিমুদ্দিন মার্কেটের গলির মুখে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ও হাত বোমা ছুরতে থাকেন। এতে জখম হন মোসলে উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মোসলে উদ্দিনের মেয়ের জামাই মো. মিন্টু মোল্লা ওই দিনই মিরপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ১১০ জনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/ইএস)