‘এ অনুভূতির সঙ্গে কোনো কিছুরই তুলনা চলে না’

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২২, ১০:৪৭

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

‘ক্লোজআপ ওয়ান’ খ্যাত গায়িকা সাজিয়া সুলতানা পুতুল। গীতিকার, সুরকার এবং সংগীত পরিচালক হিসেবেও তাকে দেখা গেছে। হয়েছেন গানের অনুষ্ঠানের উপস্থাপকও। সম্প্রতি আরও একটি বড় পরিচয় যুক্ত হয়েছে তার নামের সঙ্গে। তিনি মা হয়েছেন। কোলজুড়ে এসেছে কন্যাসন্তান।

জনপ্রিয় এ কণ্ঠশিল্পী তার মাতৃত্বকালীন সময়ের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর-এর সঙ্গে। আলাপচারিতায় ছিলেন আরিফ হাসান-

প্রথমে জানতে চাই কেমন আছেন?

আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। মেয়েও ভালো আছে। এখনো হাসপাতালে আছি। বারবার ডাক্তার, নার্সরা আসছেন। সবমিলিয়ে একটু ব্যস্ত।

প্রথমবার মা হলেন, অনুভূতি বলুন

ঘোরলাগা একটা অনুভূতি কাজ করছে। দীর্ঘ নয়টা মাস পেটের ভেতরে ভ্রুণটাকে বড় করেছি। তাকে যখন প্রথম কোলে নিলাম, তখন বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে, সে আমারই শরীরের অংশ। এ অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

সন্তানের নাম হারমনি কেন রাখলেন?

আমার মেয়ের নাম হারমনি সৈয়দা গীতলীনা। সে সুরে সুরে বিলীন হোক- এই কামনা থেকে এমন নাম রেখেছি। গীতবিতান ব্যাপারটায় অনুপ্রাণিত হয়ে নামটা রেখেছি। রেজা আর আমি দুজনেই যেহেতু গানের মানুষ, তাই নামটাও রেখেছি গানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে।

মাতৃত্বকালীন সময়টা কীভাবে কাটছে?

সময়টা আমার মেয়ে গীতলীনার সঙ্গেই কাটছে। এখনো একটা ঘোরের মধ্যে আছি। আমারই অংশ থেকে জন্ম নেওয়া নতুন একটা প্রাণের সঙ্গে প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙা, সে এক অন্যরকম রোমাঞ্চ আমার জন্য। এ অনুভূতির সঙ্গে পৃথিবীর কোনো কিছুরই তুলনা চলে না।

কাজ থেকে কতদিনের ছুটি?

সুস্থ হওয়া পর্যন্ত বিরতি। মেয়েকে একটা গান উৎসর্গ করার ইচ্ছা আছে। সুস্থ হয়ে ফিরেই সেই গানের কাজ শুরু করব। এছাড়া বৃষ্টি আর বন্যায় এখন তো মঞ্চের কাজও ঢিলেঢালা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একটু ভালো হলে খুব শিগগির মঞ্চেও ফিরব আশা করি।

মেয়েকেও কি গানের মানুষ বানাতে চান?

আমরা যেহেতু গানের মানুষ। পারিবারিক আবহের মাঝে গানটা আছে। এমনিতেই হয়তো সে (মেয়ে) নিজেই গানের জগতে চলে আসবে। তার পরও অন্য যেকোনো মাধ্যমে যদি সে আগ্রহ বোধ করে, সেটাও আমাদের জন্য আনন্দের হবে।

স্বামী রেজা আলীর কোন গুণটি আপনাকে মুগ্ধ করে?

রেজা দুর্দান্ত একজন মিউজিসিয়ান। তার গিটার প্লেয়িং অসাধারণ। তার কম্পোজিশন বিশ্বমানের। রেজার এই সংগীত প্রতিভাই তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে থাকার প্রথম এবং প্রধান কারণ।

এর পাশাপাশি রেজা ভীষণ মানবিক। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে তার একই রকম মানবিক আচরণ দেখি। সবার প্রতি সম্মানবোধ তার একই রকম। মানুষে মানুষে পার্থক্য করে না সে।

সময় দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

ঢাকাটাইমসকেও ধন্যবাদ। আপনারা আমার এবং মেয়ের জন্য আশীর্বাদ করবেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩ জুন/এএইচ)