টিসিবির পণ্য বিক্রি: তালিকা তৈরি ও ডিলার নিয়োগে বিলম্ব, পৌঁছায়নি পণ্য

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২২, ১২:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ডিলারের মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে টিসিবির ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু হয়েছে বুধবার। 

এ কার্যক্রম চালাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৭টি এবং উত্তর সিটি এলাকায় ১৬টি মুদি দোকানকে ডিলার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

এছাড়া জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও একইভাবে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

ঈদ সামনে রেখে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও এখনো তা অগোছালো। বুধবার প্রথম দিন দেখা গেছে, বেশিরভাগ এলাকায় পণ্য পৌঁছায়নি।

এছাড়া অনেক ডিলার অভিযোগ করেছেন, ডিলার নিযুক্ত করায় দেরি এবং প্রক্রিয়াগত জটিলতা রয়েছে। অনেকে বলছেন, এখনো কার্ডধারীর তালিকা তৈরি শেষ হয়নি। তাই পণ্য বিক্রিও শুরু হয়নি।

রাজধানীর মিরপুর, খিলগাঁও, পল্লবী এলাকায় নিযুক্ত পাঁচজন ডিলারের মধ্যে বুধবার মাত্র একজনকে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদের টিসিবির দপ্তরে টাকা জমা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। 

মিরপুরের মোল্লাপাড়ার রানা এন্টারপ্রাইজ ডিলার নির্বাচিত হয়েছেন গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে। রানা এন্টারপ্রাইজের মালিক ওইদিন টাকা জমা দিতে পারেননি। গতকাল ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে আজ পণ্য ডেলিভারি পেলে বিক্রি শুরু করবেন বলে জানান। 

আরেক ডিলার খান জেনারেল স্টোরের মালিক মো. গোলাম রসুল খান জানান, তিনি ডিলার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মেসেজ পেয়েছেন মঙ্গলবার রাতে। তাই টাকা জমা দিতে পারেননি।

বুধবার দুপুর ১২টায়ও টিসিবি কার্যালয়ের বসে ছিলেন তিনি। তার অভিযোগ, টিসিবি তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ না দেওয়ার কারণে কোন ব্যাংকে, কোন অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে হবে তা জানতেন না তিনি। সকাল গড়িয়ে দুপুরে জানতে পারেন ট্রাস্ট ব্যাংকে টিসিবির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে হবে।

বুধবার রাজধানীর উত্তর গোড়ানের সিপাহীবাগ বাজারে মোস্তফা ট্রেডার্সের সামনে গেলে দেখা যায়, দুপুর ১২টা থেকে কার্ডধারীরা লাইন দাড়িয়ে আছেন। ধরেন। পণ্য বিক্রি শুরু হয় বেলা ১টার দিকে।

দেখা গেছে, ডিলার কার্ডের ১৪টি ক্রমিকের ঘরের মধ্যে প্রথম ঘরে স্বাক্ষরসহ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে দুই থেকে তিন মিনিট সময় লাগছে।

দক্ষিণ সিটির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার অভিযোগ করে জানান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের তালিকা প্রস্তুত না হওয়ায় তারা পণ্য বিক্রি শুরু করতে পারেননি। 

উল্লেখ্য, বন্যাকবলিত সিলেট অঞ্চল ছাড়া ঢাকাসহ সারাদেশে বুধবার থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ফ্যাামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে পণ্য বিক্রি করা হবে। 

বন্যার কারণে মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় শুরু হবে ২৬ জুন।

ফ্যামিলি কার্ডধারী একজন ব্যক্তি বা পরিবার ৫৫ টাকা কেজি দরে এক কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে একজন কার্ডধারী একবারই এসব পণ্য কিনতে পারবেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এফএ)