মৃত ব্যক্তি-প্রবাসীর নামেও দুটি করে টিসিবি কার্ড!

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা
| আপডেট : ২৩ জুন ২০২২, ১৪:২০ | প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২২, ১৩:৩৫

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার এক সংরক্ষিত কাউন্সিলর শেফালী খাতুনের বিরুদ্ধে। যেখানে একটি পরিবার একটি মাত্র ফ্যামিলি কার্ড পাবে সেখানে একাধিক স্বচ্ছল ব্যক্তির নামে দুটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীরাও। আবার একই পরিবারের ৩ জনকেও দেয়া হয়েছে ওই কার্ড। প্রতিটি ফ্যামিলি কার্ডে সংরক্ষিত ওই নারী কাউন্সিলরের স্বাক্ষর ও সিলমোহর রয়েছে।

বিষয়টি বুধবার রাতে জানাজানি হলে চুয়াডাঙ্গা শহরজুড়ে শুরু হয় নানা সমালচনা। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শেফালী খাতুন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় নারী কাউন্সিলর শেফালী খাতুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গোরস্থান পাড়ার রবিসন খাতুন। গত ৩ মাস আগে তিনি মারা গেলেও তার নামে দেয়া হয়েছে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড। মৃত রবিসনের নামে এরআগেও দুইবার টিসিবির পণ্য কেনা হয়েছে।

একই ওয়র্ডের গোরস্থান পাড়ার মোতাহার হোসেন, তার দুই ছেলে সৈয়দ মো. পারভেজ হোসেন ও সৈয়দ মো. মুরাদ হোসেনকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকের রয়েছে দুইটি করে কার্ড। যার মধ্যে সৈয়ম মো. মুরাদ হোসেনের (তিনি গত ৫-৬ বছর ধরে কুয়েতে অবস্থান করছেন) নতুন ও পুরাতন ছবি দিয়ে ফ্যামিলি কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। পারভেজ হোসেনের একটি কার্ডে ছবি থাকলেও আরেকটি কার্ড ছবি ছাড়া। একটি কার্ডের সঙ্গে আরেকটি কার্ডের মোবাইল নম্বর একই দেয়া হয়েছে।

একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাসনা জাহানের নামেও দুটি ফ্যামিলি কার্ড পাওয়া গেছে। কার্ডে দেওয়া মোবাইল নম্বর একই। তবে, দুই কার্ডে ব্যবহার করা হয়েছে দুই রকম ছবি। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোছা. তাহমিনা খাতুনের নামেও একই রকম ছবি সংযুক্ত দুটি ফ্যামিলি কার্ড পাওয়া গেছে।

এমন আরও ৪৪টি কার্ডের ছবি এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। তাদের প্রত্যেকের দুটি করে ফ্যামিলি কার্ড রয়েছে। শুধু তাই নয়, যে ব্যক্তিদের নামে কার্ড আছে তারা পূর্বেও টিসিবির পণ্য কিনেছেন। প্রতিটি ফ্যামিলি কার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শেফালী খাতুনের স্বাক্ষর ও সিলমোহর রয়েছে।

জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শেফালী খাতুন বলেন, আমি ওই ধরনের কাজ করিনি। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শেফালী খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। আমি তাকে তলব করেছিলাম। কার্ডগুলো আলাদা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তাকে আজ সকালে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তার কাউন্সিলর পদ বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :