স্লোগানে প্রমাণ জিয়া-খালেদা পাকিস্তানের দালাল: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির স্লোগানে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া পাকিস্তানের দালাল ছিল প্রমাণ হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আজকে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জিয়া যে স্লোগানই দেয় পচাত্তরে পরাজিত শক্তি। এটার মধ্য দিয়ে সে (তারেক) প্রমাণিত করেছে তার বাপ মা পাকিস্তানের দালাল ছিল।’

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

এর আগে ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জিয়া যে স্লোগানই দেয় পচাত্তরে পরাজিত শক্তি। এটার মধ্য দিয়ে সে (তারেক) প্রমাণিত করছে তার বাপ যে পাকিস্তানের দালাল ছিল, তার মা যে পাকিস্তানি শিবিরে ছিল এবং এই বাংলাদেশের স্বাধীনতাটারে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।’

‘কাজেই এটা তো খুব স্বাভাবিক তারা তো সেই স্লোগান দিবেই। সেই পাকিস্তানি সেনাদের পদতলে চলাটাই তো তাদের অভ্যাস। তারা তো স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না। স্বাধীন জাতি হিসেবে যে একটা মর্যাদা আছে তাদের পছন্দ না। তারা পরাধীন থাকতে পছন্দ করে। পাকিস্তানিদের পায়ের লাথি-ঝাঁটাও তাদের কাছে ভালো লাগতো মনে হয়।’

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মাধ্যমে আবার এই ভূখণ্ড স্বাধীনতা অর্জন করে। আমরা পাই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।’

‘আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে এই ভূখণ্ডের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে এবং সাফল্য এনেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস আর বাংলাদেশের ইতিহাস একই ইতিহাস।’

আওয়ামী লীগকে আদর্শের ভিত্তিতে সুসংগঠিত হিসেবে গড়ে তুলতে সবসময় বঙ্গবন্ধু দৃষ্টি দিয়েছিলেন উল্লেখ করে জাতির পিতার বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগ হলেও ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দলকে গড়ে তোলার জন্য মুসলিম নামটি বাদ দেওয়া হয়।’

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা ও পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাবলি বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই সময় ১৯টি সামরিক অভ্যুত্থান হয়।’

গণভবন থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। আলোচনায় বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ প্রমুখ।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে জন্ম নেয় আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে হিসাব করলে আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/কেআর/ডিএম)