কালীগঞ্জে দফাদারকে ইউপি সদস্যের প্রাণনাশের হুমকি!

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২২, ২০:৫৭

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাজীপুরের কালীগঞ্জে সিয়াম (৩০) নামে এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহায়তা করায় এক দফাদারকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় এক ইউপি সদস্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি অবগত করেন ভুক্তভোগী দফাদার কবির হোসেন (৫০)।

এর আগে এ ঘটনায় ২১ জুন তিনি বাদী ইউপি মেম্বার ও তার ছোট ভাইকে অভিযুক্ত করে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

বিকালে সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও দফাদারের করা জিডির তদন্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান খান।

তবে ব্যাপারটি তদন্তাধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান। 

ভূক্তভোগী দফাদার কবির হোসেন উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের টিউরি এলাকার মৃত সামসুদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দফাদার হিসেবে কাজ করছেন।

অপরদিকে, অভিযুক্ত মো. মাহবুব (৪৫) একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও তার ছোট ভাই মো. হাবিবুর (৩৫)। তারা ওই ইউনিয়নের বর্তুল গ্রামের মো. নূর ইসলামের ছেলে।

ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম বলেন, গত ১৯ জুন রাতে থানার দুই কনস্টেবল ও দফাদার কবিরকে নিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সিয়ামসহ আরো ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে বর্তুল গ্রামে অভিযান চালাই। এ সময়  দফাদার খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সিয়াম ইউপি সদস্য মাহবুবের বাড়ির সামনে অবস্থান করছে। পরে থানা পুলিশকে এই তথ্য দিলে ওখান থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু মেম্বারের বাড়ির পাশ থেকে ধরিয়ে দেওয়ায় দফাদারের ওপর ওই ইউপি সদস্য ও তার লোকজন উত্তেজিত হয়। এ সময় ইউপি সদস্য ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সিয়ামকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধও করেন। পরে পরিরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আসামি নিয়ে থানায় চলে আসি।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মাহাবুব বলেন, প্রাণনাশের হুমকি বা গুমের অভিযোগটি সত্য না। আমার বাড়ির পাশ থেকে আসামি গ্রেপ্তার করেছে বলে দফাদারকে শুধু বলেছিলাম আসামিদের আমার বাড়ির পাশ থেকে না ধরে অন্য কোন স্থান থেকেও ধরতে পারতেন। এছাড়া এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে আসামিদের পক্ষে পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম সিয়ামকে যেন রেখে যায়। আমি সকালে গাজীপুর কোর্টে জামিন করিয়ে থানায় নিয়ে যাব বলেছিলাম। পরে পুলিশ আমার কথা না রেখে আসামি গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই দফাদার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য থানার একজন সাব-ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এলএ)