ব্যক্তিগত গাড়িতে চালক হিসেবে কাকে নিচ্ছেন, সর্তক আছেন তো!

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২২, ২২:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

নিজের ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে করে অফিসে যাওয়ার পথে তার চালকের হাতেই অপহারণের শিকার হন এক নারী। অল্প কিছু দিন আগে নতুন এই চালককে নিয়োগ দেন তিনি। অপহরণের হাত থেকে বেঁচে ফিরে ভুক্তভোগী শাম্মী আক্তার একথা জানান।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকার বসুন্ধরা গলির বাসা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে অফিসে যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হন শাম্মী।

নিজে গাড়ি চালাতে জানলেও চালক রেখে গাড়ি চালান এই নারী। পথিমধ্যে গাড়ি থামিয়ে চালক এক অপরিচিত ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে নেন। পরে কিছু বুঝে ওঠার আগেই অপরিচিত সেই ব্যক্তি ও গাড়ির চালক তার ওপর ব্লেড ও রেঞ্জ নিয়ে জীবনাশের হুমকি দিতে থাকে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা গাড়িতে করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চক্কর দেয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সামনে হঠাৎ থেমে যায় গাড়ি। তেল ফুরালে চালক রনি গাড়ি থেকে নেমে যান। পরে কৌশলে ওই নারী জানালা খুলে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।

ভুক্তভোগী শাম্মী আক্তার থাকেন সাইন্সল্যাব এলাকার বসুন্ধরা গলিতে। চাকরি করেন মিরপুর ডিওএইচএসে একটি পিআর অফিসে। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর থেকে ৯ বছরের সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন তিনি।

শাম্মী জানান, প্রাইভেটকারের চালক হিসেবে রনিকে এক সপ্তাহ আগেই নিয়েছিলেন তিনি। সকালে অফিসে যাওয়ার সময় ওই নারী নিজেই গাড়ি গ্যারেজ থেকে বের করেন। পরে প্রধান সড়কে আসার আগেই রনি চলে এলে তাকে গাড়ি চালাতে দেই। তখন আমি পেছনের আসনে এসে বসি।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় দুজনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করছে বলে জানান শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার।

ওসি জানান, আটক কাসেম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কেন ওই নারীকে অপহরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল সে বিষয়ে কিছু বলছেন না। রনিকে গ্রেপ্তার করতে পারলে বিস্তারিত জানা যাবে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যক্তিগত গাড়ির চালক হিসেবে কাকে নিয়োগ দিচ্ছেন, সেই বিষয়ে আগে খোঁজ নিতে হবে। অনেক অপরাধী চালকের ছদ্মবেশে এসব অপরাধ করে। তাই চালক হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার আগে তার এনআইডি, পাসপোর্ট ও জন্মসনদ সংগ্রহে রাখা উচিত।

এ বিষয়ে মগবাজার এলাকার আবদুর রহিম নামে এক গাড়িচালক বলেন, জীবনে গাড়ি চালানো ছাড়া আর কিছু শিখি নাই। আমার পক্ষে আর অন্য চাকরি করাও সম্ভব না। কিন্তু অনেক সময় এভাবে চালকের হাতে আক্রমণের শিকার হওয়ায় আমাদের মতো সাধারণ চালকের ওপর থেকে মালিকদের আস্থা উঠে যাচ্ছে।

রহিম বলেন, মালিকরা আমাদের সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করে। নিজেকে ও পরিবারকে নিয়ে নিরাপদ মনে করে না। তাই আমরাও বলি চাকরিতে নেওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হোক। 

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এএইচ/কেএম)