পদ্মা সেতুর লাইভ উদ্বোধন দেখানো হবে কলকাতার ৮ পয়েন্টে

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২২, ২০:৫৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

অবশেষে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। এ যেন স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের এক অনন্য সোনালি অর্জন। বহু চড়াই উতরাই পেরিয়ে অবশেষে আগামীকাল ২৫ জুন উদ্বোধন করা হবে পদ্মা সেতু। এ উপলক্ষে দেশব্যাপী বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। শুধু দেশ নয়, পার্শ্ববর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাতেও আটটি পয়েন্টে লাইভ দেখানো হবে সেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠান।

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসের বিশেষ অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পৌরসভা এমন আয়োজন করেছে কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। শুক্রবার এই সংবাদটি নিশ্চিত করেছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন।

এক বিবৃতিতে রঞ্জন সেন বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতার মানুষের আবেগকে সম্মান জানাতে কলকাতা উপদূতাবাসের তরফে আমরা কলকাতায় লাইভ জয়েন্ট স্ক্রিনে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন দেখানোর কথা ভাবনায় আনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পৌরসভার কাছে তাদের ডিজিটাল বিলবোর্ডগুলো ব্যবহারের অনুমতি চাই।

রঞ্জন সেনের ডাকে ডাকে সাড়া দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তারা এক মুহূর্ত না ভেবেই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের লাইভ ভিডিও সম্প্রচারণের সমস্ত দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো জানান, মোট ৫টি ডিজিটাল এবং ৩টি এনালগ বিলবোর্ডে দেখানো হবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের লাইভ ভিডিও এবং আপডেট। তবে কলকাতার কোন কোন পয়েন্টে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার হবে সেটার সুনির্দিষ্ট তালিকা প্রকাশ করা হয়নি কলকাতা পৌরসংস্থার পক্ষ থেকে।

ইতোমধ্যে পার্ক সার্কাস ৭ পয়েন্ট ক্রসিং, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের এক নম্বর গেটের সামনে, এলগিন রোডে এবং ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া ওয়াই চ্যানেলের সামনে শুক্রবার বিকেল থেকেই কলকাতা পৌরসভার ডিজিটাল বিলবোর্ড গুলোতে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সব প্রস্তুতির ছবি ভেসে উঠেছে।

বাংলাদেশ উপদূতাবাসের আয়োজনে বাংলাদেশ গ্যালারিতে আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের লাইভ সম্প্রচার করা হবে।

পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্ব কমে যাবে প্রায় ৬ ঘণ্টা। সেতুতে রেলপথ চালু হলে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কলকাতায় পৌঁছানো যাবে যেখানে আগে সময় লাগত প্রায় ১০ ঘণ্টা। এতে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে উভয় দেশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। দূরত্ব কমে যাওয়ায় যোগাযোগ হবে আরো সহজ, বাড়বে পর্যটন আর চিকিৎসা খাতে ব্যবসা। সেই আশাতে দেশের জনগণের পাশাপাশি আশায় বুক বেঁধেছে ওপার বাংলার জনগণও। তাই বাংলাদেশে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ওপার বাংলার ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এসএটি)