পদ্মার পার যেন উৎসবের মিলনমেলা

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২২, ২১:১৯ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২২, ২২:২৩

আব্দুল আজিজ শিশির, শরীয়তপুর

রাত পোহালেই উদ্বোধনে হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। উদ্বোধনের খবরে শরীয়তপুরবাসীর মনে বইছে উৎসবের আমেজ। সভাস্থল থেকে শরীয়তপুর জেলাশহর পর্যন্ত সড়কে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নির্মাণ করা শতাধিক তোরণ, ফেস্টুন, প্লেকার্ডে ছেয়ে গেছে পদ্মা সেতু এলাকা।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। শরীয়তপুর জেলা শহর থেকে পদ্মার পাড় পর্যন্ত পথে পথে রয়েছে স্বাগতম জানানো ফলক। রাস্তায় রাস্তায় লাগানো হয়েছে নানান রংয়ের পতাকা জেলা ও উপজেলা শহরে সেজেছে বর্নিল সাজে। মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে পশ্চিম নাওডোবার টোলপ্লাজার নিরাপত্তা বেস্টনির বাইরের সংযোগ সড়ক।

সরেজমিনে শুক্রবার বিকালে পশ্চিম নওডোবা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সংযোগ সড়কের দুই পাশে ফেস্টুন ব্যানারে ছেয়ে গেছে। সপ্মের পদ্মা সেতু দুর থেকে এক নজর দেখতে ভির জমিয়েছে হাজারো মানুষ। অনেকে এসেছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। আনন্দ আর উৎসবে নানান সাজে সেজেছেন কেউ। গান বাজনায় মুখর হয়ে উঠেছে পদ্মার পার। এই যেন এক উৎসব মেলা।

সুদুর ফরিদপুরে ভাঙ্গা থেকে সপরিবারে ঘুরতে এসেছেন আব্দুর রহমান (৪৫), আবেগাপ্লুত হয়ে আব্দুর রহমান বলেন, জীবনেও ভাবিনি পদ্মা নদী সেতু দিয়ে পার হবো। নিজেদের টাকায় নির্মিত সেতু ভাবতেই যেন নিজেকে বীরের মত মনে হয়। সেতু চালু হয়ে গেলে তো আর এভাবে ঘুরে দেখতে পারবো না।  তাই  পরিবারের সবাইকে নিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আশপাশ ঘুরে দেখলাম। 

খুলনা থেকে আসা আনিছুর রহমান (৪০) বলেন, বাইক নিয়ে এসেছি। ২৫ তারিখ কাল পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে। তখন সড়ক ব্যস্ত হয়ে যাবে। তাই উদ্বোধনের একদিন আগে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখতে চলে এলাম। আগামীকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিব। রাতে আত্নীয়ের বাসায় থেকে যাবো।

এদিকে শরীয়তপুর থেকে কাঁঠালবাড়ি বাংলাবাজার সমাবেশে যোগ দিতে শরীয়তপুর -২ আসন থেকে ১৫টি লঞ্চ, ১৫০টি নৌকা রাখা হয়েছে। এছাড়া অন্যন্য উপজেলা থেকে ১০টিরও অধিক লঞ্চ আসবে বলা জানা গেছে।

ভেদরগঞ্জের হাসান মিয়া  বলেন, অনেক স্বপ্ন ছিল পদ্মা সেতু নিয়ে তা পূরণ হয়েছে। এখন এটা দিয়ে আমরা দ্রুত নদী পার হয়ে ঢাকা বা অন্য জায়গায় যেতে পারবো। এতে করে আমাদের সময় বাঁচবে। তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌকা সাজিয়ে নিয়ে যাবো।

কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান বলেন, আমাদের ইউনিয়ন থেকে কয়েক হাজার লোক প্রস্তুতি নিয়েছে পদ্মা সেতুর সভাস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য। সব কিছু ঠিক থাকলে আমরা লঞ্চযোগে সেখানে পৌঁছবো। সকাল সকাল আমাদের লঞ্চ সমাবেশস্থলে যাবে।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান জানান, আনন্দ উদযাপন করবে এই জেলার মানুষ। তাই আমরা তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি । এই আনন্দ সবার।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/কেএম)