পদ্মা সেতু সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার

ওবায়দুল কাদের
 | প্রকাশিত : ২৫ জুন ২০২২, ০০:৫৫

দেশরত্ন শেখ হাসিনার অবদান পদ্মা সেতু দৃশ্যমান।

প্রমত্তা পদ্মার বুক চিরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে আমাদের গৌরবের প্রতীক, সক্ষমতা আর সামর্থ্যরে প্রতীক, আশার নবদিগন্ত, বঙ্গবন্ধু-কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্নের পদ্মা সেতু। যানবাহন চলাচলের জন্য এ সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়া এখন আনুষ্ঠানিকতামাত্র। শত বাধা-বিপত্তি, ষড়যন্ত্র, গুজব, অপপ্রচার আর চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে পদ্মার বিস্তীর্ণ জলরাশির ওপর উদিত হয়েছে সম্ভাবনার নতুন সূর্য। প্রস্ফুটিত হয়েছে প্রত্যাশার নতুন ফুল।

বিশ্বব্যাংক মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু-কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের এক সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এমন সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ বঙ্গবন্ধু-কন্যার পক্ষেই সম্ভব। তিনি প্রমাণ করেছেন, বাঙালি চোরের জাতি নয়, বাঙালি বীরের জাতি। সাহস, সততা, দেশপ্রেম এবং কমিটমেন্ট থাকলে যেকোনো চ্যালেঞ্জ উত্তরণ সম্ভব তা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে। দুর্নীতি প্রচেষ্টার যে অপবাদ দেওয়া হয়েছে, তা পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

এ কথা স্বীকৃত সত্য যে, উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এ বাস্তবতা উপলব্ধি করে শেখ হাসিনা সরকার দেশের সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে নিয়েছে ব্যাপক উদ্যোগ। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। পদ্মা সেতু ঘিরে সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে নেয়া হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা। এরই মাঝে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি হতে মাওয়া এবং শিবচরের পাচ্চর হতে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ভাটিয়াপাড়া-নড়াইল-যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত যাতায়াত নিরবচ্ছিন্ন করতে মধুমতি নদীর উপর নির্মাণ করা হচ্ছে কালনা সেতু। এ সেতুর কাজ শিগগির শেষ হতে চলেছে। এরই মাঝে এ মহাসড়কে ঝিকরগাছা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কালনা সেতুর কাজ শেষ হলে ঢাকা থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর পর্যন্ত বিরামহীন সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।

এদিকে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির অর্থায়নে দৌলতদিয়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়ক সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সাপোর্ট প্রকল্প হিসেবে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী- কুয়াকাটা সড়কে ভূমি অধিগ্রহণ এবং ইউটিলিটি শিফটিংয়ের কাজ চলছে। অপরদিকে যশোর-খুলনা-মংলা মহাসড়কও সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন।

খরস্রোতা নদী পদ্মায় সেতু নির্মাণে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। এখানে নদীর প্রবাহ মাত্রা প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ৫০ হাজার ঘনমিটার। নদীর তলদেশে প্রায় ৬২ মিটার পর্যন্ত স্কাউরিং হয়। এসব বিষয় বিবেচনা করেই পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণে ৯৮ থেকে ১২২ মিটার পাইল ব্যবহার করা হয়েছে, যার ডায়ামিটার ৩ মিটার এবং ৩ হাজার ৫ শত কিলোজুল ক্যাপাসিটির পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হ্যামার ব্যবহার করা হয়েছে। পিয়ারের উপর স্প্যান উঠানোর কাজে প্রায় ৪ হাজার টন ক্যাপাসিটির ভাসমান ক্রেন ব্যবহার করা হয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসেবে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে, যার ক্যাপাসিটি ৯৬ হাজার কিলোনিউটন।

দেশবাসী দেখেছেন, এ সেতু নিয়ে শুরু থেকেই হাজারো অপপ্রচার আর ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রের দুর্গম পথ মাড়িয়ে আমাদের এগুতে হয়েছে। শুরু থেকে কারা কীভাবে এ সেতুর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তা দেশের মানুষ জানেন। দেশবাসী নিশ্চিত করেই জানেন, ২০০১ সালের ৪ জুলাই মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং আজকের প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। অথচ আজ এত বছর পর শুনতে পাই, বিএনপি নেতারা বলছেন বেগম জিয়া নাকি মাওয়া এবং নদীর অপর প্রান্তে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন। এটি হাস্যকর ও কল্পনাবিলাস।

বিএনপির কাজ হলো গোয়েবলসীয় কায়দায় নিরেট মিথ্যাকে বারবার উচ্চারণ করে সত্যে রূপদানের অপচেষ্টা করা। পদ্মা সেতু নিয়ে তাদের অতীত ষড়যন্ত্র, অব্যাহত মিথ্যাচার এবং গুজব এ সেতুর নির্মাণকে কোনোভাবে থামিয়ে রাখতে পারেনি। এমনকি কোভিড পরিস্থিতিতেও দিন-রাত চলেছে সেতুর কাজ। নিজস্ব অর্থায়নে গৌরবের এবং সক্ষমতার সেতু নির্মিত হওয়ায় বিএনপির নেতারা অন্তর্দহনে দগ্ধ হচ্ছেন। পদ্মা সেতুকে ঘিরে তাদের নানান অপপ্রচারের সাথে এখন যুক্ত হলো বেগম জিয়ার ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের রূপকথার গল্প।

অনেক সময় পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে নানান অপপ্রচার শুনতে পাই। এমনও শুনেছি শুধু সেতু নির্মাণেই নাকি ব্যয় হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। টাকা নাকি লুটপাট হচ্ছে। আসলে যারা লুটপাট তত্ত্বে বিশ্বাসী এবং ক্ষমতায় থাকাকালে লুটপাটই করেছে, তারা সবকিছুতে লুটপাটই দেখেন। একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের যারা সক্ষমতা কিংবা সাহস দেখাতে পারেননি তারা কোন নৈতিকতায় মেগা প্রকল্প নিয়ে কথা বলেন? মিথ্যাচার করেন? অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আমরা সব সময় বলেছি, যে কেউ প্রকল্পের ব্যয় বিষয়ক তথ্য যেকোনো সময় নিরীক্ষা করে দেখতে পারেন এবং এর স্বচ্ছতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন।

এখানে উল্লেখ করতে চাই, ২০০৭ সালের ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের ব্যয় ছিল প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। সে সময় সেতুর দৈর্ঘ্য ছিল ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার। মাত্র তিনটি স্প্যান নেভিগেশনের জন্য নির্ধারিত ছিল। সেতুতে রেল লাইন নির্মাণ ব্যয় ডিপিপিতে অন্তর্ভূক্ত ছিল না। ডিটেইল ডিজাইন না থাকায় অনুমানের ভিত্তিতে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তী সময়ে দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এবং ভায়াডাক্টসহ মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার করা হয়। ৪১টির মধ্যে ৩৭টি স্প্যানকে নেভিগেশনের উপযুক্ত করা হয়। রেল ট্র্যাককে অতিরিক্ত ভারবহন ক্ষমতা সম্পন্ন করা হয়। অন্যান্য বিষয়াদি সংযুক্ত করে ২০১১ সালে ডাবল ডেকার এ সেতুর সংশোধিত ডিপিপি ব্যয় দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

৫ বছর পর অর্থাৎ ২০১৬ সালে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। এ ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হলো নির্ধারিত অংশের চেয়ে আরো বেশি এলাকাজুড়ে নদী শাসন কাজ। এসময় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধি পায় ৬৯ টাকা থেকে ৭৮ টাকায়। অধিগ্রহণকৃত জমির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পায়। এজন্য জমির মূল্য বা ক্ষতিপূরণ খাতে প্রায় দ্বিগুণ অর্থ দিতে হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের বাজারমূল্যে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। ফেরিঘাট শিফট করতে হয়। পরবর্তী সময়ে বিশেষ সংশোধনসহ বর্তমানে এ প্রকল্পের ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ভায়াডাক্টসহ মূল সেতুর ব্যয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। অথচ ঢালাওভাবে গুজব ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ইচ্ছেমতো অনেকে ব্যয়ের হিসাব দিচ্ছেন মিডিয়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যার সত্যতা নেই।

পদ্মা সেতু নির্মাণের সমুদয় অর্থ সরকার ঋণ হিসেবে দিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে। সেতু কর্তৃপক্ষ সেতু চালুর পর থেকে বার্ষিক সুদ ১ পার্সেন্ট হারে ৩৫ বছরে সরকারকে এ অর্থ পরিশোধ করবে ১৪০টি কিস্তিতে। ঋণ পরিশোধ, সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য কাজের ব্যয় নির্বাহে যানবাহনের উপর টোল আরোপ করা প্রয়োজন। মাওয়া-জাজিরা রুটে ফেরি পারাপারে বিআইডব্লিউটিসির বর্তমান টোল হার, ট্রাফিক ফোরকাস্ট, কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স, ডিএসএল পরিশোধ, সেতু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং আদায়কৃত টোলের ভ্যাট-ট্যাক্স বিবেচনায় নিয়ে টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।

পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি সেতুই নয়। এটি একটি ভিশন। এটি একটি স্বপ্ন। এ সেতু সম্ভাবনার নবদিগন্ত। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে রাজধানীর সাথে সংযুক্ত করার সেতুবন্ধ। অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বার। সেতু দিয়ে চলাচলে ভ্রমণসময় এবং ভ্রমণব্যয় কমবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উৎপাদনশীলতা বাড়বে। কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সুবিধার পাশাপাশি নতুন নতুন শিল্প গড়ে উঠবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। এছাড়া সুন্দরবন, কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। মংলা এবং পায়রা বন্দরের সাথে স্থাপিত হবে স্থল যোগাযোগ। ধারণা করা হচ্ছে এ সেতু দেশের সার্বিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবৃদ্ধি বাড়াবে ২ শতাংশের বেশি।

পদ্মা সেতু বঙ্গবন্ধুর সোনালি স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধু-কন্যার শ্রম-ঘাম-ত্যাগ-নিবিড় মনিটরিং এবং সাহসিকতার সুবর্ণ ফসল। এ সেতু অপবাদ, অপমানের বিপরীতে আত্মবিশ্বাসী এক জাতির সাফল্যগাঁথা। আমরা প্রমাণ করেছি বাংলাদেশ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র দেশ নয়। এ দেশের সাহস আছে। সক্ষমতা আছে। দাতা সংস্থাগুলোর অঙ্গুলি হেলনে এদেশকে আর চালানো যাবে না। দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্র আর এ দেশের এগিয়ে যাওয়ার গতিকে রুখতে পারবে না। আমরা এ সেতুর নামকরণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এ উদার, দেশপ্রেমিক, আমাদের পূর্বপৃথিবীর সূর্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা রাজি হননি। তিনি নদীর নামেই সেতুর নামকরণ করেছেন- পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতু শুধু দেশের মানুষের প্রত্যাশায় দ্যুতি ছড়ায়নি, সারা বিশ্বে অবস্থানকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দিয়েছে। সারা দেশে মানুষের মাঝে বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার। সেতুর জন্য বাড়ি, ঘর, ফসলি জমি দেয়া মানুষগুলোর কোনো দুঃখ নেই, তাদের কাছে পদ্মা সেতু এক অনুভূতির নাম। বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি হারানো মানুষদের পূনর্বাসনের আওতায় আনা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্লট। পূনর্বাসন সাইটে নির্মাণ করা হয়েছে স্কুল, মসজিদ, কাঁচাবাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ অন্যান্য সুবিধাদি।

পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই লাখ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গড়ে তোলা হচ্ছে প্রাণী অভয়ারণ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়েছে জাদুঘর। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সেতুর নির্মাণকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিসহ নানান উপকরণ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রত্যক্ষ তদারকিতে নির্মিত এ সেতু দেশের জন্য এক অমিত সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এ অসামান্য অর্জন আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে পরম গৌরবের। গৌরবের এ প্রতীক দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অদম্য গতিতে এগিয়ে যাওয়ার সিঁড়ি হয়ে আমাদের নিয়ে যাবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সুনিশ্চিত গন্তব্যে।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।।

লেখক: মন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :