সোশ্যাল মিডিয়া ভাসছে সেতু বন্দনায়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ জুন ২০২২, ২০:১০ | প্রকাশিত : ২৫ জুন ২০২২, ১৫:১৩

সম্মিলিত এমন আনন্দ একসঙ্গে উদযাপন করতে দেখা যায়নি বাঙালি জাতিকে, সেই আনন্দ উৎযাপনের উপলক্ষ ছিলো পদ্মা সেতু। সেতু উদ্বোধনের ঐতিহাসিক দিনে দেশের স্যোশাল মিডিয়া ভাসছে পদ্মা সেতু কেন্দ্রীক বিভিন্ন পোস্টে।

দেশ-বিদেশে অবস্থান করা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম ও টুইটারে পোস্ট করছেন পদ্মা সেতু নিয়ে। জানাচ্ছেন নিজের অভিব্যক্তির কথা।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বৈশাখী টেলিভিশনের সংবাদকর্মী আশিক আহমেদ নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, স্বাধীনতার পর দেশের বড় অর্জন প্রমত্তা পদ্মার বুকে সেতু, ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ধন্যবাদ দেশের প্রতিটি মানুষকে যাদের টাকায় এই পদ্মা সেতু।

একইভাবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন বিষয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শেখ আদনান ফাহাদ। তিনি লিখেছেন, ‘যারা দেশের অর্জনে হাসতে পারে না তারা মৃত। তাদের আত্মা মরে গেছে। দেশের মানুষ এদেরকে ঘৃণা করে।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের বিষয়ে ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছেন ভাষানটেক সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগেী অধ্যাপক নূপুর দত্ত। তিনি লিখেন, যারা আরিচায় সাত আট ঘণ্টা, কখনো পনেরো ষোলো ঘণ্টা আটকে থাকেনি, তারা পদ্মা সেতু নিয়ে ট্রল করতেই পারেন। আর দক্ষিণবঙ্গের কমবেশি সকলেরই আটকে থাকার সেই অসহায় অভিজ্ঞতা রয়েছে।’

বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করেন মেহেদী হাসান বাপ্পী। সেতু নিয়ে নিজের ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দেন তিনি। লিখেছেন, আজ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের গর্বের দিন৷ পদ্মার ভয়াবহতা যারা কখন দেখেনি! তাদের কাছে এটি শুধুই দেশের দীর্ঘতম সেতু মাত্র৷ আমরা যারা থানা সংলগ্ন বিক্রমপুরের মানুষ, এদের কাছে এটি শুধুই একটি দীর্ঘতম সেতু নয়! একটি ভাঙন রোধের বিশাল ঢালও বটে৷ ছোটবেলায় লৌহজং থানার ভয়ংকর ভাঙন দেখেছি৷

কোনো রাজনীতির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ত না থাকার কথা স্বীকার করে সেতু নিয়ে নিজের উচ্ছাসের কথা ফেসবুকে লিখেন চলচ্চিত্র নির্মাতা, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র জুড়ি মঞ্জুরুল ইসলাম মেঘ। তিনি লিখেন, আজ যখন সবাই পদ্মা সেতুর আনন্দের পক্ষে এবং বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন, তখন আমি ভাবতেছি নেক্সট কে? চোখ বন্ধু করে, বুকে হাত দিয়ে বলুন তো শেখ হাসিনার অবর্তমানে দেশ পরিচালনা করবে কে?

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার নিজের ফেসবুকে লেখেন, পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটা সেতু নয়। এই সেতু মূলত বাংলাদেশের জনগণের সাহস ও সম্মানের প্রতীক। তাই দেশপ্রেমিক মাত্রই এই অর্জনে গর্বিত হওয়ার কথা! কে কোন দল বা কার রাজনীতি করেন সেটা বড় কথা নয়। সাবাস শেখের বেটি! সাবাস শেখ হাসিনা! সাবাস বাংলাদেশ!

শনিবার বেলা ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। এরপর জাজিরা প্রান্তে পৌঁছে ১২টা ৪০ মিনিটে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তাঁর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরীসহ অতিথিরা।

ঢাকাটাইমস/২৫ জুন/এসআর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :