পদ্মা সেতুর অনুষ্ঠানে ছিলেন না শরীয়তপুরের তিন এমপি, কারণ করোনা

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২২, ১৬:০১ | আপডেট: ২৫ জুন ২০২২, ১৬:০৪

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি শরীয়তপুরের তিন সংসদ সদস্য। তারা হলেন— এ কে এম এনামুল হক শামীম, ইকবাল হোসেন অপু ও নাহিম রাজ্জাক।

শনিবার সকালে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ সারাদেশ দেশ থেকে আগত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে দুই প্রান্তের অনুষ্ঠানেই শরীয়তপুরের সংসদ সদস্যরা যোগ দিতে পারেননি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় নিজেদের ফেসবুকে দুঃখ প্রকাশ করে পোস্ট দেন ও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।

করোনা পজিটিভ হওয়া শরীয়তপুরের তিন সংসদ সদস্য হলেন-শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে করোনা পজিটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারা নিজেরাই।

তারা লিখেছেন, আজ ২৫ জুন ২০২২, বাংলাদেশের মানুষের জন্য ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষ্যে আমরা গত এক মাস যাবত কাজ করে যাচ্ছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য (তিন দফা করোনা পরীক্ষা করি) গতকাল রাতেও আমাদের তিনজনেরই কোভিড পজিটিভ হওয়ার কারণে আমরা অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারছি না। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের মানুষকে এমন একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের জন্য।

২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে চলতি মাসে শেষ হয় সেতুর কাজ। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।

পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।

পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।

বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

ঢাকাটাইমস/২৫জুন/ইএস