পদ্মা সেতু দেখানোর কথা বলে প্রেমিকাকে ধর্ষণ!
সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক প্রেমিকাকে পদ্মা সেতু দেখানোর কথা বলে একটি রিসোর্টে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুরে ঢাকার ধামরাই উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রেমিক আলামিন হোসেন উপজেলার চরচৌহাট এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
ভুক্তভোগী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আলামিনের। এই সুবাদে আলামিন প্রেমিকাকে পদ্মা সেতু দেখানোর কথা বলে শুক্রবার সকালে একটি রিসোর্টে নিয়ে যায়। এরপর ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। দুপুর পর্যন্ত ওই রিসোর্টে অবস্থান করে তারা। বিষয়টি কাউকে না বলতে ওই প্রেমিকাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী।
ওই স্কুলছাত্রীর দাবি, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে আলামিনের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্র ধরে সে আমাকে পদ্মা সেতু দেখানোর কথা বলে শুক্রবার সকালে রওনা হয়। এরপর দুপুরের দিকে শহর অঞ্চলের একটি রিসোর্টে নিয়ে যায়। সেই শহর ও রিসোর্ট আমি চিনি না।
সেখানে একটি রুমের ভেতরে নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য আমার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় আলামিন। আমি বিকালে বাড়ি ফিরেই আমার দাদাসহ পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানাই। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আলামিন আমার মেয়েটির সর্বনাশ করেছে। আমরা তার কঠোর বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তিনি বলেন, চৌহাট ইউপির সাবেক মেম্বার মো. জাকির হোসেন আমাকে থানায় যেতে না দিয়ে শুক্রবার বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক করে। আমি প্রহসনের কোনো বিচার-সালিশ মানি না। আমি আইনের আশ্রয় নিতে চাই।
এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি মেম্বার মো. জাকির হোসেন বলেন, যে ঘটনাই ঘটুক না কেন মেয়েটি বাচ্চা মানুষ। তাই ওর ভবিষ্যৎ নষ্ট করা যাবে না। তাই স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করছি। এতে দোষের কী?
চৌহাট ইউনিয়নের পুলিশ বিট অফিসার কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/এআর)