ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য নেই, ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

শাদমান শাবাব, শাবিপ্রবি
 | প্রকাশিত : ২৬ জুন ২০২২, ১১:২৯

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিনথিয়া (ছদ্মনাম)। গত মাসে বিভাগের একটি কোর্সের অ্যাসাইনমেন্ট জমাদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তথ্য বিভ্রাটের কারণে শিক্ষকের পদবি লিখতে ভুল করেন তিনি। এতে মনঃক্ষুন্ন হন ওই কোর্স শিক্ষক। আধুনিকায়নের অভাবে সিনথিয়ার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা পেতে এমন ভোগান্তিতে পড়ছেন শাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলে।

অভিযোগ রয়েছে, ওয়েবসাইটে অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায় না। এদিকে হালনাগাদ না থাকায় দেশ-বিদেশের সেবাপ্রত্যাশীরা এসব ভুল তথ্যে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। অপরদিকে, যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা র্যাংকিং নিয়ে কাজ করছে, তাদের বিচারে এই বিশ্ববিদ্যালয় খুবই নাজুক অবস্থানে রয়েছে। শিক্ষকদের গাফিলতি, প্রশাসনিক কাজে দুর্বলতা এবং সদিচ্ছার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্ব র্যাংকিংয়ে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে আসতে পারছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

শাবিপ্রবি’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (িি.িংঁংঃ.বফঁ) ঢুকে দেখা যায়, ইংরেজি ফরম্যাটের তথ্যের সঙ্গে বাংলা ফরম্যাটের তথ্যের মিল নেই। ইংরেজি ফরম্যাট মাঝেমধ্যে আপডেট করা হলেও বাংলা ফরম্যাটের অবস্থা বেহাল। বিভাগগুলোর পেজে দেখা যায়, অনেক শিক্ষকের নাম, মোবাইল ফোন নম্বর ও ই-মেইল ব্যতীত অন্য কোনো তথ্য দেওয়া নেই। নেই কোনো জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের তথ্য। এর মধ্যে যেসব তথ্য দেওয়া আছে, সেগুলোর মধ্যে অনেকটিই ভুল। অনেক শিক্ষক পদোন্নতি পেয়ে থাকলেও তা নতুন করে সংযোজন করা হয়নি। সিলেবাস ও অ্যালামনাই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেই। শিক্ষার্থীদের নামের তালিকাও নেই এই ওয়েবসাইটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকলেও কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেই ওয়েবসাইটে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের তথ্য মতে, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড থেকে ১৯৯৯ সালের ৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডোমেন কেনা হয়। এরপর দুই দশকের বেশি সময় পার হলেও প্রয়োজনীয় অনেক তথ্যের অনুপস্থিতি রয়েছে।

এ বিষয়ে কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মো. মাছুম বলেন, কোন তথ্য সঠিক আর কোন তথ্য ভুল, তা সংশ্লিষ্ট দপ্তর ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। তাই প্রতিটি বিভাগ ও দপ্তরকে ইউজার নেম ও আইডি দেওয়া হয়েছে, যা ব্যবহার করে তারা নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ করতে পারবে। দপ্তরগুলোর গাফিলতির কারণে নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ হয় না।

(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/আরকেএইচ/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :