প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিদাতা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিদাতা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের যুবক আব্দুল হাইকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুরের পুলিশ।

রবিবার বিকালে তাকে চাঁদপুর এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর চাঁদপুর আদালতে পাঠালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত যুবক আব্দুল হাই জাতীয়তাবাদী বিএনপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় নেতা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি ও হত্যার হুমকির দেয় আব্দুল হাই নামে এক যুবক। তার বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকায়।

পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, গত বৃহস্পতিবার নিজের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে ''ফরিদগঞ্জের মাটি'' থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে মানহানিকর এবং পদ্মা সেতুর মাঝখানে নিয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ক্রসফাযার দিয়ে হত্যার হুমকিসহ স্ট্যাটাস দেন আব্দুল হাই। এমন ঘটনা পুলিশের নজরে পড়ে। এই ব্যক্তির বিষয় খোঁজ খবর নিয়ে আটকের নির্দেশ দেওয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে।

এরইমধ্যে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার চরকুমিরা গ্রামের মাকসুদুল বাশার বাঁধন পাটওয়ারী এই বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৯/৩১/৩৫ ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

অন্যদিকে, পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে এলাকা থেকে গা ঢাকা দেওয়া অভিযুক্ত মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।

এক পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় এবং সংশ্লিষ্ট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদের মনিটরিংয়ে শনিবার ভোর রাতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুরুল ইসলাম, এএসআই নাঈম ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসামি আব্দুল হাইকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত আব্দুল হাই ফরিদগঞ্জ উপজেলার মূলপাড়া গ্রামের হাফেজ আহমেদের ছেলে। সবশেষ রবিবার বিকালে থানায় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত আব্দুল হাই ঘটনার দায় স্বীকার করে। পরে তাকে চাঁদপুরের আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, আমরা কখনোই কুরুচি বক্তব্য সমর্থন করি না। প্রধানমন্ত্রী ও পদ্মা সেতু নিয়ে কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়। যার যে কাজ তাকে সেভাবে করতে দেওয়া উচিত। আব্দুল হাই যদি কুরুচি মন্তব্য করে থাকেন, তবে ঠিক করেননি। তার বিরুদ্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/এআর)