বোয়ালমারীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২০, বাড়িঘর ভাঙচুর

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০২২, ২০:৪৭

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনকে আটক করেছে।

রবিবার সকালে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের শুকদেবনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চতুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম খান এবং একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার শরীফের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই সূত্র ধরে সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষের পাঁচজনকে আটক করেছে।

এ ব্যাপারে মো. দেলোয়ার শরীফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নজরুল খানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। শনিবার সন্ধ্যায় আমার দলের রাজ্জাক নামে একটি ছেলেকে মারধর করে। আবার ওই রাতেই কিছু লোককে নজরুল খানের দলে ভিড়িয়ে খাওয়া-দাওয়া করায়। রবিবার সকালে সাবেক ইউপি সদস্য কাসেদ ও রেজাউল শেখের নেতৃত্বে আমার দলীয় আকু শেখ, ওদুদ শেখ, জাকু শেখ, ওবায়দুর শেখসহ অনেকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লোকজনকে আহত করে।

এ বিষয়ে মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, সকালে দেলোয়ার শরীফের লোকজন আমার দলের জালাল শেখ, ফরিদ শেখ ও ইউসুফের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে ইউসুফের স্ত্রী বিলকিস খানমকে মারধর এবং লাঞ্ছিত করে। এরপর তাদের ওপর হামলা হয়।

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এসময় পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/এলএ)