শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন ড. বেনজীর, অর্থ দেবেন বন্যার্তদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, ১৮:২৭ | প্রকাশিত : ২৭ জুন ২০২২, ১৮:২১

শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। ২০২১ সালে জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাপ্রধানদের মধ্যে তিনি এ সম্মানে ভূষিত হলেন। পুরস্কারের অর্থ সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিতদের কল্যাণে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশপ্রধান।

আজ সোমবার পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আনুষ্ঠানিকভাবে আইজিপির হাতে পুরস্কার তুলে দেন। শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে একটি সার্টিফিকেট, একটি ক্রেস্ট এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৯ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাপ্রধানদের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদকে ২০২১ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে একটি সার্টিফিকেট, একটি ক্রেস্ট এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেওয়ার আদেশ জারি হয়।

পুলিশপ্রধান ড. বেনজীর আহমেদ পুলিশ বাহিনীর এ অর্জনে তার সব সহকর্মীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এ অর্জনে পুলিশ জনকল্যাণ, কর্মনিষ্ঠা, সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে বলে মনে করেন তিনি। এ সময় পুলিশপ্রধান শুদ্ধাচার পুরস্কারের পুরো অর্থ দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত মানুষের কল্যাণে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

বহুমুখী ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে বাহিনীতে প্রশংসা আছে ড. বেনজীর আহমেদের। জঙ্গিবাদ দমন থেকে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের ভূমিকা প্রশংসিত। আর এসব কাজের সৃজনশীল নেতৃত্ব দিয়েছেন বর্তমান পুলিশপ্রধান।

স্বাধীন বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীতে ড. বেনজীরই প্রথম আইজিপি, যিনি অর্ধশতাব্দীর পুলিশ বিভাগের নানা ক্ষেত্রে সংস্কার এনেছেন, যোগ করেছেন নতুন নতুন ধারণা, যা এই বাহিনীকে করে তুলেছে জনবান্ধব।

সদরদপ্তর বলছে, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থার মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে পুলিশ বাহিনী।

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের নির্বাহী সারসংক্ষেপ অনুযায়ী শুদ্ধাচার বলতে সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ বোঝায়। এর দ্বারা একটি সমাজের কালোত্তীর্ণ মানদণ্ড, নীতি ও প্রথার প্রতি আনুগত্যও বোঝানো হয়। ব্যক্তি-পর্যায়ে এর অর্থ হল কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততা, তথা চরিত্রনিষ্ঠা।

২০২০ সালের ৮ এপ্রিল দেশের ৩০তম আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান ড. বেনজীর আহমেদ। ১৫ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন তিনি। এর আগে তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানেও তিনি নিজের সৃজনশীলতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে এসেছেন। মেধাবী, সৎ ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিত বেনজীর আহমেদ ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। সপ্তম বিসিএসের মাধ্যমে ১৯৮৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন।

র‌্যাবের ডিজি হিসেবে সাড়ে পাঁচ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালনের আগে বেনজীর আহমেদ প্রায় সাড়ে চার বছর ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ছিলেন। পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি (প্রশাসন), ডিআইজি (অর্থ) এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে দক্ষতা, যোগ্যতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।

এর আগে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার কিংবা ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবেও অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজ করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রেখেছেন মেধা আর দক্ষতার ছাপ। ২০১৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

ড. বেনজীর আহমেদ চাকরিজীবনে সর্বোচ্চ সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেছেন পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম)। ২০২০ সালে ষষ্ঠবারের মতো বিপিএম (সাহসিকতা) অর্জনের রেকর্ড গড়েন তিনি। এর আগে ২০১১, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে এই পদক তার সাফল্যের মুকুটে যোগ হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/এসএস/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :