সাংবাদিক না হয়েও অনেকেই এ পেশার সম্মান নষ্ট করছে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ জুন ২০২২, ১৯:৪৯

সাংবাদিক না হয়েও অনেকেই সাংবাদিক পরিচয়ে এই মহৎ পেশাটির সম্মান নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতা শুধু একটা পেশা নয়, সাংবাদিকতা হলো একটা ব্রত। কিন্তু অনেকেই আছেন সাংবাদিক না হয়েও গায়ে সাংবাদিক লাগিয়ে এই পেশাটার সম্মান নষ্ট করছে।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে সাংবাদিক জহুর হোসেন উদযাপন কমিটি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে সাংবাদিকতা পেশা এমন ছিলো না। এখন এমন কিছু সাংবাদিক আছে যারা তিন লাখ চার লাখ টাকাও বেতন পান। সাংবাদিকদের সংখ্যাও এখন অনেক বাড়ছে।

‘এখন বাংলাদেশে কত হাজার সাংবাদিক আছে তা সাংবাদিকরা নিজেরাই বলতে পারেন না। আমি তো আরো বলতে পারি না। এখন কারা সাংবাদিক সেটি নিয়েও একটা প্রশ্ন আছে’—যোগ করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী জানান, প্রেস কাউন্সিল ও পিআইবির মাধ্যমে সাংবাদিকদের একটা ডাটাবেজ তৈরির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ডাটাবেজের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের পরিচয় নির্ধারণ হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের ডাটাবেইজ ও রেজিস্ট্রেশনের একটা নাম্বার দিলে তারা একটা শৃঙ্খলার মধ্যে চলে আসবেন। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো অনলাইনের সাংবাদিককে আমরা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানও দিচ্ছি না।’

দেশ-রাষ্ট্র-জাতি গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতিকে পথ দেখানোর দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। বর্তমানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ব্যাপক ভূমিকা পালন করছেন। তারা আমাদের সামনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে আনেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা তাদের অবদান দেখেছি।’

প্রয়াত সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীকে স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জহুর হোসেন চৌধুরী একজন লেখক, কলামিস্ট ও সাংবাদিক ছিলেন। তিনি স্বাধিকার আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। সমাজে এমন কিছু সাংবাদিক আছেন যারা স্বাধীনতার পর সমাজ গঠনে জীবনটাকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তাদের লেখনির মাধ্যমে সমাজের তৃতীয় নয়ন উন্মোচন করেছেন।’

‘তারা সমাজের যেদিকে কেউ তাকায় না তাকানোর প্রয়োজনও মনে করে না সেদিকে সমাজের দৃষ্টি দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। এর মধ্যে জহুর হোসেন চৌধুরী অন্যতম। তিনি জাতি গঠনে অনেক ভূমিকা পালন করেছেন।’

জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/জেএ/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :