ফেনীতে আসামির মুখে স্কুলছাত্রী হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা!

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২২, ২১:০২

ফেনী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মিফতাহুল মালিহা আফরাকে (৫) পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন আসামি আনোয়ার হোসেন স্বপন (৩৮)।

শনিবার ক্লাসের চলাকালে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় আফরা। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্কুলের পেছনে কবরস্থানের জঙ্গলে গাছের সঙ্গে লতা পেঁচানো অবস্থায় আফরার নিথর দেহের খোঁজ মিলে।

ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে। গ্রেপ্তার স্বপন উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের নেয়াজপুর এলাকার মৃত কবির আহম্মদের ছেলে।

পুলিশ জানায়, নেয়াজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির ছাত্রী আফরা শনিবার বেলা ১১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়। স্কুলের মাঠ দিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিল স' মিল কর্মচারী প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন স্বপন।

আফরা স্কুলের টয়লেটে প্রাকৃতিক কাজ সেরে বের হওয়ার সময় প্রতিবেশী স্বপন তাকে মুখ চেপে ধরে পাশের জঙ্গলে কড়ইগাছের নিচে নিয়ে যায়। চিৎকার করতে চাইলে তাকে টয়লেটের দেয়ালের সঙ্গে আঘাত করে জখম করে।

এ সময় কড়ইগাছের নিচে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। আফরা চিৎকার করে মাকে বলে দিতে চায় স্বপনের নির্যাতনের কথা। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে স্বপন তার গলা চেপে ধরে নির্মমভাবে হত্যা করে। একপর্যায়ে গলায় গাছের মোটা লতা পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

পরে আফরাকে গাছের সঙ্গে হেলান দিয়ে রেখে চলে যায়। আফরার স্বজনদের সঙ্গে মিলে আফরাকে খোঁজও করে স্বপন। একপর্যায়ে আফরা যে কোনো স্থান থেকে ফিরে আসবে বলেও আফরার মাকে সান্তনাও দেয় সে। তখনো আফরার মা জানত না স্বপনই আফরার খুনি। কড়ইগাছের নিচে আফরার নিথর দেহ রেখে স্বপন আফরার খোঁজে মাঠে নামে।

সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) সার্কেল মাশকুর রহমান বলেন, আফরার মরদেহ পাওয়ার পরপরই স্বপনকে আটক করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এর পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার আফরাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। স্থানীয়রা স্বপনের ফাঁসি দাবি করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এআর)