সুনামগঞ্জে নদীর পানি আবারও বাড়ছে

প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২২, ২২:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ

নতুন করে পাহাড়ি ঢলের পানি আসায় নিম্নাঞ্চলগুলোর পরিস্থিতি আবারও অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত ১৩ দিনের বন্যার পানিতে ক্ষয়ক্ষতির রেশ কাটতে না কাটতে আবারও সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বাড়তে থাকায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে নিজনিজ বাড়িতে ফেরা মানুষগুলোকে আবারও সেখানেই ফিরতে হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। 

এদিকে সুনামগঞ্জের নদনদীর পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম।

 

সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে তা এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী দোয়ারা বাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী খাসিয়ামারা ও চেলা নদীর পানি বেড়ে সংলগ্ন নিচু এলাকাগুলোতে প্রবেশ করছে।

 

দোয়ারা বাজার উপজেলার খা‌সিয়ামারা নদীর তীরবর্তী একটি গ্রামের বাসিন্দারা জানান,পা‌নি দ্রুত বাড়ছে। ন‌দী‌টি ভাঙন কবলিত হওয়ায় উপজেলার আলীপুর বাজার,বোগলাবাজার, বাংলাবাজার, চকবাজার, পূর্ববাংলাবাজার, লিয়াকতগঞ্জ, টেংরা বাজার এলাকা দিয়ে পা‌নি দ্রুত প্রবেশ করছে।

 

তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বৌলাই নদীর পাড়ের ইমাম উদ্দিন জানান, পানি কমলেও গতকাল থেকে বৃষ্টির হওয়ায় ও পাহাড়ী ঢলে পানি আবারও বাড়তে থাকায় পানি বাড়ছে। আবারও বন্যা হয় কিনা উৎবেগ আর উৎকণ্ঠায় আছি।

 

পানি যদি বাড়তেই থাকে তাহলে পানিতে ডুবেই আমাদের মরতে হবে বলে জানান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দোয়ারা বাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা আরিফুর রহমান। তিনি আরও জানান,ঘরের পানিই এখনও নামেনি এর মধ্যে আবার নতুন করে পানি আসলে কোথায় যাব ভেবে পাচ্ছি না। 

 

একই গ্রামের বাসিন্দা হামিদুর রহমান বলেন, গত দুই দিনে পানি অনেকটাই কমে গেছিল। বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানি বাড়ায় সকাল থেকে আবার পানি বাড়া শুরু হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরে এসে আবারও মনে হচ্ছে সেখানেই যেতে হবে।

 

ভারতের মেঘালয়েও বৃষ্টি হওয়ায় এ উপজেলার সীমান্তবর্তী খাসিয়ামারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান,দোয়ারাবাজারের ইউএনও ফারজানা প্রিয়াঙ্কাও। তিনি আরও জানান, গতকাল সোমবার থেকে এখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ফলে নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। 

 

 

(ঢাকাটাইমস/২৮জুন/এআর)