ফরিদপুরে গরু ব্যবসায়ী শরীফ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২২, ২৩:০৫

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ী শরীফ শেখ (৩৫) এর হত্যা রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে শরীফকে হত্যা করেছে তার নিকটতম সহযোগী শরিফ বাকাউল (২৬)। এ হত্যা মমলায় গ্রেপ্তার করার পর পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেন শরিফ বাকাউল।

নিহত গরু ব্যবসায়ী ওই ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের নিমাই শেখের ছেলে। শরীফ বাকাউল একই ইউনিয়নের রহিমপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মো. মোয়াজ্জেমের ছেলে।

রবিবার সকাল ৯টার দিকে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে ওই ব্যাক্তির বাড়ি থেকে অনুমানিক ৬০০ মিটার দূরে গাবির বিলের মধ্যে অবস্থিত আব্দুল হালিমের কলা বাগান থেকে শরীফ শেখের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল।

এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে নিহতের ভাই বাবলু শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলাদায়ের করেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. সেলিম বলেন,  মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শরিফ বাকাউলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেখানো তথ্য মতে এ হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি দা, দা বহনকারী একটি ব্যাগ এবং শরিফ বাকাউলের পরিধেয় প্যান্ট সংলগ্ন কুমার নদে কচুরিপানার ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, শরিফ বাকাউল গরু ব্যবসায়ী শরিফ শেখের সহযোগী। গরু বেচা কেনার কাজে শরীফ বাকাউল শরিফ শেখকে সহযোগিতা করতেন। কিছুদিন আগে  শরিফ শেখ শরীফ বাকাউলের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেন। এটারা দেওয়ার জন্য শরিফ বাকাউল শরিফ শেখকে চাপ দিত। দীর্ঘদিন ধারা নেওয়া টাকা না দেওয়ায় শরিফ বাকাউল শরীফ শেখকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য কিছুদিন আগে শরিফ বাকাউল কানাইপুর বাজার থেকে ৪০০টাকা দিয়ে একটি দা কেনেন। এরপর থেকে তিনি শরীফ শেখকে হত্যার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শরিফ বাকাউল শরিফ শেখকে জুয়া খেলার কথা বলে ওই কলাবাগানে নিয়ে যান। তারপর শরিফ শেখের মাথায় দা দিয়ে একাধিক কোপ দিয়ে তাকে হত্যা করেন শরিফ বাকাউল।

(ঢাকাটাইমস/২৮জুন/এআর)