পদ্মার ভাঙন, হুমকির মুখে কুষ্টিয়ার বসতবাড়ি-মহাসড়ক

প্রকাশ | ২৯ জুন ২০২২, ১২:৩৫ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২২, ১৩:১২

সাইফ উদ্দীন আল আজাদ, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ও তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় পদ্মার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকশ একর ফসলি জমি।

প্রতিদিনই ৬০ থেকে ৭০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। নদীগর্ভে গেছে অনেকের বসতবাড়ি ও জমি। হুমকিতে রয়েছে আরও শত শত বিঘা ফসলি জমি, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কসহ হাজারও বসতবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনা। 

এদিকে একমাত্র আয়ের উৎস ফসলি জমি হারিয়ে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা এখানকার হাজারও কৃষক। কোন আশ্বাস নয়, নদী ভাঙন ঠেকাতে অবিলম্বে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর দাবি দ্রুত ভাঙন রোধ না করা গেলে তাদের কয়েক হাজার একর আবাদি ফসলি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। হুমকির মুখে তাদের অসংখ্য স্থাপনা তাই প্রশাসনের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। 

বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা আশিক বলেন, নদীতে পানি কমে যাওয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই নদীর পাড় ৬০ থেকে ৭০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এর সঙ্গে শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। পদ্মার ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। 

তালবাড়ীয়া এলাকার শান্ত বিশ্বাস জানান, তালবাড়িয়া ইউনিয়নের রানাখড়িয়া গ্রামে ভয়াবহ পদ্মা নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাগর মুন্সির বাধ নামক স্থান এবং বারুইপাড়া ইউনিয়নের শিমুলতলা নামক স্থান ও তালবাড়িয়া ইউনিয়নের সব থেকে বেশি যে জায়গা ভাঙনের কবলে পড়েছে। নদী ভাঙনের ফলে শত শত বাড়িঘরসহ ফসলী মাঠ নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। 

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/এসএ)