বদলে যাবে দেশের চেহারা, এগিয়ে চলছে মেগা প্রকল্পগুলো

প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২২, ০০:১৭ | আপডেট: ০১ জুলাই ২০২২, ১২:৫২

মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকাটাইমস

উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে দেবে সরকারের ১০ মেগা প্রকল্প। অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু ইতিমধ্যে উদ্বোধন হয়েছে। আলো ছড়াচ্ছে দেশ-বিদেশে। বাকি প্রকল্পগুলোর কাজও চলছে দ্রুতগতিতে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

বর্তমান সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকারভুক্ত (ফার্স্ট ট্র্যাক) ১০ প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ববহ ছিল পদ্মা সেতু। ইতিমধ্যে উদ্বোধনের পর এই সেতু দিয়ে চলছে যানবাহন। পাশাপাশি পদ্মা সেতুর রেলসংযোগের কাজ এগিয়ে চলছে পুরোদমে। আগামী বছরের জুনে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেললাইন চালুর লক্ষ্যে কাজ চলছে।

এভাবে একে একে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে মেগা প্রকল্পগুলো। আগামী ডিসেম্বরে চালু করার লক্ষ্যে কাজ চলছে অন্তত তিনটি মেগা প্রকল্পের। রাজধানীতে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।

ঢাকার যানজট কমাতে সরকারের বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮০.১০ শতাংশ। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের কাজের অগ্রগতি ৯২.৪৯ শতাংশ। এই অংশে আগামী ডিসেম্বরে ট্রেন চালুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। ট্রেন পরিচালনার জন্য যেসব অবকাঠামো প্রয়োজন, তার প্রায় সব কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

আর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজের অগ্রগতি ৭৯.৪৭ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রেল কোচ ও ডিগু ইকুপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ৮১.১৫ শতাংশ।

এদিকে ডিসেম্বরেই বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত অংশ চালু করার লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের।

আরেকটি মেগা প্রকল্প আগামী ডিসেম্বরে চালু হবে বলে সরকার লক্ষ্য নিয়ে রেখেছে। চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ।

এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন, পায়রা সমুদ্র বন্দরের কাজও চলছে পুরোদমে।

পদ্মা সেতু রেল লিংক

পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পে রেলস্টেশন, ভায়াডাক্ট, রেলসেতু ও রেললাইনের কাজ চলছে পুরোদমে। জানা গেছে, প্রকল্পের কাজ শুধু সেতুর ওপরে নয়, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ চলমান। এই অংশের কোথাও মাটি ভরাট, কোথাও সেতু, কালর্ভাট নির্মাণ এবং রেললাইন স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

১৬৯ কিলোমিটার রেলপথের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগ ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া। দ্বিতীয় ভাগ মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা। শেষ ভাগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশ পড়েছে।

প্রকল্প সংশিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হবে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে ফরিদপুর ও রাজবাড়ির দিকে যে রেললাইন আছে, সেখানে রেললাইন সংযোগ তৈরি হয়ে যাবে। সরকার চাইলে তখন রেল চলাচল করতে পারবে।

প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুসারে, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। মাওয়া থেকে ভাঙ্গার কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। ৫১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে ভাঙা থেকে যশোর পর্যন্ত। এর মধ্যে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে ১১ কিলোমিটার রেলপথ বসানো হয়েছে। তবে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

মেট্রোরেল

ঢাকা মহানগরীর মানুষকে সহজে যাতায়াত সুবিধা দিতে সরকারের একটি মেগা প্রকল্প হলো মেট্রোরেল। ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় ছয়টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এই ছয়টির আওতায় মোট ১২৮ দশমিক ৭৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। তার মধ্যে উড়াল ৬৭ দশমিক ৫৬৯ কিলোমিটার এবং পাতাল ৬১ দশমিক ১৭২ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) নামে একটি সংস্থা গঠন করেছে সরকার।

লাইনগুলোর মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল এমআরটি লাইন-৬ এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর বাকিগুলো এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এমআরটি লাইন-৬ উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত হচ্ছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ চলছে পুরোদমে। এটাও খুব দ্রুত শেষ করা হবে।

২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মেট্রোরেল প্রকল্পের সার্রিক অগ্রগতি ৩১ মে পর্যন্ত ৮০.১০ শতাংশ। এমআরটি-৬ এর অধীনে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করার জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তরা-আগারগাঁও লাইনে ট্রেনের ট্রায়ালও হয়েছে। মেট্রোরেল ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। 

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

এই বছরের ডিসেম্বরেই বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত অংশ চালু করার লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। ২৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৩১টি র‌্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় এ মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকি টাকা দিচ্ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

তিন ধাপে এর কাজ সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত অংশের দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার। তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেলক্রসিং থেকে চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে।

এদিকে প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপটি বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার। কিন্তু এ বছরের ডিসেম্বরে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের আগেই এ কাজ শেষ করতে দিন-রাত কাজ চলছে। এখনো যে সময় আছে এর আগেই কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী তারা।

তৃতীয় ধাপের মগবাজার-চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত অংশের প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে।

জানা গেছে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে বিমানবন্দর এলাকায় সংযুক্ত করা হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-জামালপুর, ঢাকা-মানিকগঞ্জ-তেঁতুলিয়া, ঢাকা-মাওয়া-বরিশাল মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করবে এ প্রকল্প।

এক্সপ্রেসওয়ে দুটি চালু হলে দেশের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের বাসিন্দারা ঢাকার ভেতরের যানজট এড়িয়ে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে পারবেন।

কর্ণফুলী টানেল

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে সম্ভাবনাময় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ খুলে দেওয়ার জন্য কাজ চলছে জোরেশোরে। নদীর তলদেশ দিয়ে চার লেন বিশিষ্ট ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের দুটি টিউবের খননকাজ শেষ হয়েছে আগেই। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানেলের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন টানেলের অভ্যন্তরের স্ট্রাকচারের কাজ চলছে।

জানা গেছে, প্রথম টিউবের পর দ্বিতীয় টিউবে রোড স্ল্যাব স্থাপন কাজও সমানতালে এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি চলছে দুটি টিউবের মধ্যে ক্রস প্যাসেজ বা  আন্তঃসংযোগের কাজ। টানেলের পতেঙ্গা অংশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলেছে। আনোয়ারা অংশে সংযোগ সড়কের নির্মাণ এগিয়ে নিচ্ছে সেতু বিভাগ।

নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত সুড়ঙ্গ পথ। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মহাসড়ক নেটওয়ার্কের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে দুই ইউনিটের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ চলছে দ্রুত। ২০২৩ সালে ১২০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। ২০২৪ সাল নাগাদ দুটি রি-অ্যাক্টর থেকে আমাদের জাতীয় গ্রিডে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ যোগ হবে।

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র

দেশের বিদ্যুৎচাহিদা মেটাতে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজও চলছে পুরোদমে। ৫১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট নিয়ে এটি তৈরী হচ্ছে। প্রকল্প ব্যয়ের ৮৩ শতাংশ বহন করছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা- জাইকা। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট এবং জুলাই মাসে দ্বিতীয় ইউনিট চালুর লক্ষ্য রয়েছে প্রকল্প পরিকল্পনায়।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাথে রেল যোগাযোগ করতে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজ চলছে। এই মেগা প্রকল্পের দোহাজারী থেকে রামু, কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার অংশের কাজ হয়েছে ৭০ শতাংশ। ২০২৩ সালে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ চালু হতে পারে।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পায়রা সমুদ্র বন্দর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা সমুদ্রবন্দরের উদ্বোধন করেন। বন্দরের প্রথম কনটেইনার টার্মিনালের কাজ শেষ হতে পারে আগামী বছরের জুনে। টার্মিনালটি চালু হলে বন্দর জেটিতে ভিড়তে পারবে কনটেইনারবাহী জাহাজ।

পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জানান, আগামী বছরের মার্চের মধ্যে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ করতে আমরা আশাবাদী। পদ্মা সেতু চালুর সুফল নিতে আগামী সেপ্টেম্বরে বন্দরের সার্ভিস জেটিতে (বন্দরের নিজস্ব ছোট জাহাজ রাখার জেটি) গাড়ির জাহাজ ভেড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সে জন্য খননকাজ এগিয়ে চলছে।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র

২০১৪ সালে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। আগামী ডিসেম্বরে দুটি ইউনিটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটিতে উৎপাদন শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুন/এমএইচ)