শিক্ষক উৎপল হত্যা: বিচারের দাবিতে আজও উত্তাল সাভার

প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২২, ১৪:৫৫ | আপডেট: ৩০ জুন ২০২২, ১৫:১১

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সাভারের আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি স্কুলছাত্র আশরাফুল আহসান জিতুর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

 

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ফেডারেশন অব কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে সাভার উপজেলা বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রায় ৬ শতাধিক স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ করেন।

এ সময় ফেডারেশন অব কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জিতুর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 

 

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা এ সময় বেশকিছু দাবির কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো শিক্ষকদের নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে, খুনি আশরাফুল আহসান জিতুর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, নিহতের পরিবারকে সর্বোচ্চ আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং জিতুর সহযোগীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্থানীয় ও ভাড়াটিয়া শিক্ষার্থীদের ভেদাভেদ নির্মূল করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

 

মানববন্ধনে ফেডারেশন অব কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের (ফোকা) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জীতু বলেন, আমরা খুনি জিতুর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। যাতে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষকদের অবমাননা করতেও সাহস না পায়। এমন শাস্তি নিশ্চিত করা হোক যেন শাস্তি দেখে পরিবারের কর্তারাও তাদের সন্তানদের আস্কারা না দিয়ে চরিত্র গঠনে সহায়ক হন।

 

হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, জিতু পরিকল্পিতভাবে শিক্ষক উৎপলকে হত্যা করেছে। সে তার একটি নিজস্ব বিরাট নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল। গাজীপুরের যেখান থেকে জিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেখানে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী ছিল। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তার কাছেই সে আশ্রয় নেয়। সুতরাং জিতু যে তার গ্যাং নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে তা স্পষ্ট। আমরা চাই পুরো ঘটনা স্পষ্ট করা হোক। পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় কিশোর গ্যাং নির্মূল করা হোক।

 

গত শনিবার (২৫ জুন) হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে মেয়েদের ক্রিকেট খেলার সময় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে সোমবার (২৭ জুন) সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে রবিবার (২৬ জুন) সকালে নিহতের বড় ভাই অসীম কুমার সরকার বাদী হয়ে জিতু এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ২৮ জুন রাতে কুষ্টিয়া থেকে জিতুর বাবা ও ২৯ জুন গাজীপুর থেকে জিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় জিতুর বাবা ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুন/এআর)