চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০২২, ২০:৫৯

জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া স্মারক নম্বর বসিয়ে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার একটি বিল পাসের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রামে এই অভিযোগ দেওয়া হয়।

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছ দুদক চট্টগ্রামের উপ পরিচালক নাজমুছ সাদাত বলেন, এক কর্মকর্তাকে নিয়ে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দুদক কার্যালয়ে এসে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা অভিযোগটি গ্রহণ করেছি। এতে হাসপাতালের এক কর্মকর্তাসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে।

তিনি বলেন, অভিযোগটি আমরা ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। সেখানে থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হবে সে অনুযায়ী কাজ করবো।

অভিযোগে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় আটটি আইসিইউ বেড ও অন্যান্য সামগ্রী কেনায় অনিয়ম হয়। এ ঘটনায় দুদকর দায়ের করা একটি মামলা শুনানি পর্যায়ে রয়েছে। ফলে মালামাল সরবরাহকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিলও আটকে যায়। গত ২৮ জুন মঙ্গলবার ভুয়া স্মারক নম্বর তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে সবার অগোচরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে ওই বিল ছাড়ানোর চেষ্টা করেন জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. ফোরকান। অর্থবছরের হিসাব গোছানোর সমাপনী দিনে ফোরকান বিলটি নিয়ে বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক অফিসে গেলে জাল বিলের বিষয়টি ধরা পড়ে। এর আগে চলতি বছরের ১৭ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটিও চট্টগ্রামে আসে বিষয়টি তদন্তের জন্য।

অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের একটি বিলের স্মারক নম্বর জেনারেল হাসপাতালের নামে আরেকটি বিলের কাগজে বসিয়ে জাল কাগজ তৈরি করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বিল ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়।

বিল জালিয়াতির কথা স্বীকার করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, জুনের সমাপনী হিসাব নিয়ে কাজ করছিলাম। হাসপাতালের আইসিইউ স্থাপন সংক্রান্ত ২০১৩-১৪ সালের একটি বকেয়া বিল ছিল। যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। তিনি বলেন, বিলটিতে ক্রুটি ছিল। একটি কাগজ জাল ছিল। ওটা ঠিকাদার আমাদের দিয়েছে। হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে ওটা ধরা পড়ে। ভুয়া স্মারক নম্বর ব্যবহার করা হয়।

সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটন হওয়া দরকার। এ বিষয়ে আমরা দুদকে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে তিনি ৪ জনের নাম উল্লেখ না করলেও হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ফোরকান ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ৩ জনের নাম রয়েছে বলে জানান।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুন/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :