সাতক্ষীরায় মৎস্য চাষিদের প্রণোদনার টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০২২, ২৩:০৫

সাতক্ষীরা জেলার চার উপজেলায় সাবস্ক্রাইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের অধীনে মৎস্যচাষীদের মাঝে টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সাতক্ষীরার তালা, শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও দেবঘাটা উপজেলায় মৎস্যচাষীদের মাঝে প্রজেক্টের এসব টাকা বিতরণের কথা ছিল।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাপ্ত প্রায় সাড়ে ৬০০ ওজন মৎস্য চাষের তালিকা ধরে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। ‌ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন তাদের ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি নেওয়া হলেও তারা কোনো টাকা পাননি। তালিকায় তাদের নাম উঠলেও তাদের ফোনে টাকা পৌঁছেনি। ‌‌তবে এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা প্রকৃত তালিকায় থাকা ব্যক্তি কি না বিষয়টি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ‌শুধুমাত্র এই তালিকা ধরে মৎস্য চাষীদের ফোন নম্বরে কল করা হয়েছিল।

দেবহাটা উপজেলার চর গ্রামের মজিদুল ইসলাম জানান, তার গ্রামের মেম্বার তার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি নিয়েছেন। কিন্তু তিনি কোনো টাকা পয়সা পাননি বলে জানান। তার মতো একই অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার কার্তিক চন্দ্র সরকার ও চায়না খাতুন। তাদের অভিযোগ তারা কোন টাকা পাননি। একই গ্রামের সবাই টাকা পেয়েছেন, কিন্তু পাশের গ্রামের কেউ টাকা পায়নি। তবে তালিকায় তাদের নাম উঠেছে। ‌

কালিগঞ্জ উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের মৎস্য চাষী প্রশান্ত সরকার, আবু মুসা, নুর আলম, রবীন্দ্রনাথ মৃধা, শ্রীকান্ত, গিয়াস উদ্দিন ছাড়াও নারায়ণপুরের রবিউল মিন্টু ও আবু সিদ্দিক টাকা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। ‌‌‌‌‌এই উপজেলার মৎস্য চাষী মিন্টু সরকার জানান, তার গ্রামে যারা প্রকৃত মৎস্য চাষী তাদের অনেকের টাকা পেলেও তা পরিমাণে কম পেয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার যাওয়া খালি গ্রামের চারজন মৎস্য চাষির নাম তালিকায় এলেও তারা কেউ টাকা পাননি। তাদের মধ্যে একজন রবীন্দ্রনাথের বৃথা। তার মোবাইলে ফোন করা হলে ফোনের অপর পাশে থাকা ব্যক্তি জানান তার নাম হৃদয়। তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ। তিনি মৎস্য চাষি নন। এই গ্রামের মৎস্য চাষি রুহুল আমিন জানান, যাদের কম ক্ষতি হয়েছে তারাই টাকা পেয়েছেন। কিন্তু যারা প্রকৃত মৎস্য চাষি তারা কেউ টাকা পাননি।

এই তালিকা ধরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলা হলে তারা জানান, মৎস্য কর্মকর্তারা তাদের নামের তালিকা নিয়ে গেছেন। সেই তালিকা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ‌কিন্তু ঢাকা থেকে টাকা পাঠানোর সময় তাদের মোবাইলে কোন টাকা পাঠানো হয়নি অথচ তাদের নাম ও মোবাইল নাম্বার তালিকায় উঠেছে বলে তারাও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন‌।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান বিষয়টি কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত। এ কারণে প্রকৃত মৎস্য চাষিরা টাকা পেয়েছেন কিনা বিষয়টি যাচাই করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

তারা আরও জানান, ঢাকা থেকে টাকা পাঠানোর আগে তালিকা থেকে ব্যক্তিদের নাম মোবাইল নাম্বার যাচাই করা হয়েছে। তারপর সেই টাকা পাঠানো হয়। এরপরও কেউ টাকা না পেলে অভিযোগ করতে পারেন। কিন্তু কেউ অভিযোগ করেনি।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুন/এএইচ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :