হলি আর্টিজান হামলার ছয় বছর, জঙ্গিবাদ কোন পথে

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২২, ০০:৫৫ | আপডেট: ০১ জুলাই ২০২২, ০৯:৩৫

সিরাজুম সালেকীন, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি।

রাজধানীর গুলশানে অভিজাত হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ। নারকীয় ওই হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রাণ হারান দুই পুলিশ কর্মকর্তা। আর জঙ্গিরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে।

হলি আর্টিজান হামলার ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের ফলে দেশে জঙ্গি তৎপরতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মনে করে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে জঙ্গিরা এখন হামলা না চালালেও তারা অন্য রূপে তৎপর বলে তথ্য উঠে এসেছে নানাজনের বক্তব্যে।

দেশে জঙ্গিরা এখন সদস্য ও অর্থ সংগ্রহের দিকে বেশি মনোযোগী বলে জানান র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অভিযানগুলোতে দেখা গেছে জঙ্গিরা হামলা-সংঘর্ষের বদলে এখন সদস্য আর অর্থ সংগ্রহ দিকেই বেশি মনোযোগী। তারা এখন অনলাইন বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বেশি সক্রিয়। 

এদিকে নৃশংসতম ওই হামলার মামলায় বিচারিক আদালতে রায় হলেও উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি এখনো। তবে বিচারিক আদালতের রায়ের ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে এবং হাইকোর্টে দ্রুত এর শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়িতে সেদিন রাত ৮টা ৫০ মিনিট থেকে রাতভর রুদ্ধশ্বাস এক জঙ্গি হামলার ভয়াবহতার সাক্ষী হয়েছিল গোটা জাতি। ভোরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অপারেশন থান্ডার বোল্টের মাধ্যমে অবসান হয় জঙ্গিবাদীদের ১২ ঘণ্টা ধরে চালানো নৃসংশতার। উদ্ধার হয় জিম্মিরা। মারা যায় পাঁচ জঙ্গি- নিবরাস ইসলাম, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম বাঁধন।

হলি আর্টিজানে বিপথগামী কয়েকজন তরুণের আত্মঘাতী হামলা অনেকটাই বদলে দেয় বাংলাদেশকে। সারাবিশ্বে সাড়া ফেলে দেয়া ওই ঘটনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না বাংলাদেশ।

তথাকথিত জিহাদ কায়েমের লক্ষ্যে জননিরাপত্তা বিপন্ন করার এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য জেএমবির একাংশ নিয়ে গঠিত নব্য জেএমবির সদস্যরা এই নারকীয় ও দানবীয় হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে পরে বেরিয়ে আসে।

এই ঘটনার পর শুধু র‌্যাবের অভিযানেই ধরা পড়ে প্রায় ১৭০০ জঙ্গি সদস্য। অনান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেমন- অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) ১৭৩ জন এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ৫৫৯ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে।

কী ঘটেছিল সেই রাতে

তখন রমজান মাস চলছিল। সেদিন ইফতার শেষে হঠাৎ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে গুলশানে ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে’ পুলিশের গোলাগুলি হচ্ছে। দ্রুতই তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে গুলশানে জঙ্গি হামলার কথা। 

ঘটনা শুরু রাত পৌনে নয়টার দিকে। রাত ৮টা ৪২ মিনিটের দিকে হলি আর্টিজানের মূল ফটকে যায় জঙ্গি নিবরাস ইসলাম ও মীর সামেহ মোবাশ্বের। একটু পর রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম বাঁধন কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হাজির হয়।

ফটকের নিরাপত্তাকর্মী নূর ইসলাম তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে নিবরাস তার ডান চোখের নিচে ঘুষি মারে। এরপরই পাঁচ জঙ্গি হলি আর্টিজানের ভেতর ঢুকে যায়। ঢুকেই গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ভেতরে থাকা সবাইকে জিম্মি করে।

জঙ্গিদের প্রতিরোধে সেখানে এগিয়ে গিয়েছিলেন গুলশানের এসি রবিউল ও ওসি সালাউদ্দিন। হলি আর্টিজানের আঙিনায় ঢুকতেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান তারা।

মুহূর্তেই সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা দুনিয়ায়। ঢাকার গুলশানে জঙ্গি হামলা খবর বিশ্বের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রচার হতে থাকে।

আধা ঘণ্টার মধ্যেই পাঁচ জঙ্গি গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেশি-বিদেশিদের হত্যা করে। বিভিন্ন রুম, টয়লেট, চুলার ঘর, হিমঘর ইত্যাদি স্থান থেকে বিদেশিদের বের করে এনে তারা এই হত্যাযজ্ঞ চালায়।

রাত ১০টার দিকে র‌্যাব, পুলিশ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কয়েক শ সদস্য ঘটনাস্থল ঘিরে অবস্থান নেন। সারাদেশের মানুষ শ্বাসরুদ্ধর সময় কাটায় রাতভর।

জঙ্গিদের নির্মূলে অভিযান

পরদিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিট। সেনা, নৌ, পুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ কমান্ডো দল হলি আর্টিজানে অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘থান্ডার বোল্ট’।

৭টা ৪৫ মিনিট: কমান্ডো বাহিনী অভিযান শুরু করে। প্যারা কমান্ডো সদস্যরা ক্রলিং করতে করতে সামনে দিকে এগোতে থাকেন এবং গুলি ছুড়তে থাকে পদাতিক ডিভিশন ও স্লাইপার টিম। এসময় জঙ্গিরাও গুলি ছুড়তে থাকে।

সকাল সোয়া ৮টায় রেস্টুরেন্ট থেকে প্রথম দফায় নারী ও শিশুসহ ৬ জনকে বেরিয়ে আসে। পাশের একটি ভবন থেকে একজন বিদেশি নাগরিক তার মোবাইল ফোনে সেটি ধারণ করেন।

৮টা ৫৫ মিনিটে ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয় অভিযানকারীরা। গোয়েন্দা দল ভবনের ভেতর বিস্ফোরকের জন্য তল্লাশি শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করে গোয়েন্দারা।

৯টা ১৫ মিনিটে অভিযান শেষ হয়। কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে প্রায় ১২ ঘণ্টার রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের অবসান হয়।

সকাল ১০টায় চারজন বিদেশিসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধারের খবর জানানো হয়। রেস্টুরেন্টের ভেতরে অজ্ঞাত পাঁচজনের মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।

এখনো ডিসি আহাদের শরীরে স্প্লিন্টার

হলি আর্টিজান বেকারির অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মো. আ. আহাদ। বর্তমানে তিনি ডিএমপির মতিঝিল উপ-কমিশনার (ডিসি)। পুলিশের এই কর্মকর্তার শরীরে দশটি স্প্লিন্টার রয়েছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অভিযানে আমাদের যে দুই কর্মকর্তা (ওসি সালাউদ্দিন ও এসি রবিউল) মারা গিয়েছিলেন, তাদের পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। তাছাড়া পুলিশের যারা আহত হয়েছিলেন, তাদের সবাই তো এখন বাহিনীতে কাজ করছেন। আমি নিজেও শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে কাজ করছি। শরীরে স্প্লিন্টার থাকলে কী যে কষ্ট ... সেটা বুঝি।’

হামলা ছেড়ে দাওয়াতে জঙ্গিরা

দীর্ঘদিন জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করছেন সিনিয়র সাংবাদিক নুরুজ্জামান লাবু। গুলশানের হলি আর্টিজানের ঘটনা খুব কাছ থেকে কাভার করেছিলেন। এ নিয়ে বইও লিখেছেন।

ঢাকাটাইমসকে লাবু বলেন, ‘দেশে সক্রিয় যে জঙ্গি সংগঠন ছিল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রমাগত অভিযানের ফলে সেগুলো কোণঠাসা। জঙ্গিরা এখন সরাসরি মাঠে কম সক্রিয়। তারা গোপনে সদস্য ও অর্থ সংগ্রহে কাজ করছে। এজন্য তানরা মাঠে সশরীরে উপস্থিতির চেয়ে অনলাইন সক্রিয় বেশি। নব্য জেএমবির শীর্ষ অনেক নেতা ধরা পড়লেও আনসার আল ইসলামের একজন শীর্ষ নেতা সেনাবাহিনীর বহিষ্কৃত মেজর জিয়া এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে।’ 

লাবু বলেন, ‘আল কায়েদার অনুসারী এই আনসার আল ইসলামের অনুসারীরা উচ্চ শিক্ষিত এবং অধিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন। তারা এখন সাংঘর্ষিক কার্যক্রম থেকে সরে এসে দাওয়াতি কার্যক্রম চালাচ্ছে। ২০১৩ থেকে টার্গেটি কিলিং শুরু করলেও হলি আর্টিজানের ঘটনার পর তোলপাড় শুরু হলে সেটা (সাংঘর্ষিক কার্যক্রম) বন্ধ করে।’

মামলার বিচারকাজ

হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় গুলশান থানা দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে ঢাকার সিটিটিসি। এই হামলায় মোট ২১ জনের সম্পৃক্ততা পায় তদন্ত সংস্থাটি। এর মধ্যে পাঁচ জঙ্গি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এছাড়া পুলিশ ও র‌্যাবের বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয় আরও আটজন। জীবিত বাকি আটজনকে আসামি করে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

সিটিটিসির অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, ঘটনার প্রায় দেড় বছর আগে পরিকল্পনা এবং দীর্ঘ প্রস্তুতি শেষে নৃশংস এ হামলা সরাসরি বাস্তবায়নে দায়িত্ব দেওয়া হয় আত্মঘাতী পাঁচ জঙ্গিকে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে জেএমবির একটি গ্রুপ বিদেশিদের ওপর হামলার সিদ্ধান্ত নেয় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

পরবর্তীতে ‘নব্য জেএমবি’ নামে পরিচিতি পাওয়া এ গ্রুপটির কথিত শুরা কমিটি গাইবান্ধার সাঘাটায় বৈঠক করে হামলার সিদ্ধান্ত নেয়।

সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড

দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়। বিচারিক কার্য্ক্রম শুরুর এক বছরের মধ্যেই আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে মামলার আট আসামির সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ এবং মামুনুর রশিদ রিপন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। তবে রাষ্ট্রপক্ষ সেই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করে।

চূড়ান্ত নিষ্পত্তি ঝুলে আছে

নজিরবিহীন এই হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকী আজ। নৃশংসতম এই হামলার মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি এখনো। মামলায় বিচারিক আদালতে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হলেও উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি যেন দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় বিচারিক আদালতের রায়ের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে। হাইকোর্টে দ্রুত এর শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

জঙ্গিদের হামলার সক্ষমতা নেই

সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সিটিটিসিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কল্যাণে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশে বড় ধরনের কোনো জঙ্গি হামলার হুমকি ও আশঙ্কা এখন দেখছি না। ওই ধরনের সক্ষমতাও জঙ্গি সংগঠনগুলোর নেই। হলি আর্টিজান হামলার পর সব জঙ্গির সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত হুমকি বিবেচনায় বাংলাদেশ সবচেয়ে নিরাপদ দেশ বলে জানান সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ইনডেক্সে সব দেশ মিলে ৪০তম অবস্থানে আমরা। যেখানে ইংল্যান্ডের অবস্থান ২১-এ। যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ৩১তম অবস্থানে। তবে, তুষ্টির সুযোগ এখনও নেই। সিটিটিসিসহ সব বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।’

কর্মসূচি

হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় জঙ্গি হামলার ছয় বছর উপলক্ষে আজ সকাল ৭টা থেকে গুলশানের ‘দীপ্ত শপথ ভাস্কর্য’-এ ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। র‌্যাবের মহাপরিচালক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা, নিহতদের স্বজনরা ও বিভিন্ন সংগঠন শ্রদ্ধা জানাবেন।

(ঢাকাটাইমস/০১জুলাই/মোআ)