দুই সপ্তাহে ১৫ টাকা বেড়ে ৫ টাকা কমল পেঁয়াজের দাম

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২২, ১৬:২৮ | আপডেট: ০১ জুলাই ২০২২, ১৬:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দুই সপ্তাহে কেজিতে ১৫ টাকা বাড়ার পর রান্নার নিত্য প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ পেঁয়াজের দাম কমল পাঁচ টাকা। তবে পেঁয়াজের দাম কমলেও আরেক নিত্যপণ্য চালের দাম বাড়তিই রয়েছে। এছাড়া বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরু-মাছের দামও।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে কেজি ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম পাঁচ টাকা কমলেও দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৫০ টাকায়, আজ তা ৪৫ টাকায় বিক্রি করছি। দুদিন ধরে আড়তে পেঁয়াজের দাম একটু কমেছে। কম দামে কিনতে পারায় আমরাও কম দামে বিক্রি করছি। তবে ঈদের আগে হুট করে আবার পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে কি না বলতে পারছি না।

পেঁয়াজের দাম কমলেও এখনো কমেনি চালের দাম। বর্ধিত দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল।

চালের বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ টাকা, পাইজাম চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

চালের বাড়তি দামের বিষয়ে কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে চালের যোগান থাকলেও সিন্ডিকেটের জন্য চালের দাম বেশি। ন্যায্য দামের চেয়ে বেশি দাম দিলে চাল পাওয়া যাচ্ছে। ফলে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়তিই থাকছে। 

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর। এক কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। তবে গত সপ্তাহে গাজরে কেজি ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে গাজরের দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

পাকা টমেটোর কেজি আগের মতো ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর মতো অপরিবর্তিত রয়েছে বরবটি ও বেগুনের দামও। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলাও গত সপ্তাহের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে নতুন আসা কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। কাঁচা পেঁপের কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা দাম কমেছে।

এছাড়া পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

মুরগির বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছেন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।

অন্যদিকে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। খাসি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। এছাড়া তেলাপিয়া, পাঙাস মাছ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা ও পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে।

(ঢাকাটাইমস/১জুন/ওএফ/ইএস)