বন্যার্তদের জন্য ফায়ার সার্ভিসের খাদ্য বিতরণ অব্যাহত
বন্যাকবলিত সিলেট-সুনামগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের খাদ্য সাহায্য বিতরণ এখনো অব্যাহত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের নির্দেশনায় সিলেট বিভাগের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
নিয়মিতভাবে এ কাজে এবার যুক্ত হয়েছে সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে আসা খেজুর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অভিপ্রায় অনুযায়ী সৌদি দূতাবাসের দেওয়া সোয়া ছয় টন খেজুর বুঝে পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সেই খেজুর বিতরণ করা হচ্ছে সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যাপীড়িত মানুষের মাঝে।
খাদ্য সাহায্য বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩০ জুন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর ফায়ার স্টেশনের আওতাধীন এলাকা, কৃষ্ণনগর, ফতেহপুর, জনতা, মুক্তিরখলা, শক্তিয়ারখলা, দূর্গাপুর, মল্লিকপুর, ছিদ্দরপুর, বাগমারা ও রাধানগর গ্রামের বন্যাকবলিত লোকদের মাঝে এক হাজার ১০৫ প্যাকেট খেজুর বিতরণ করা হয়।
এসব এলাকার কোথাও কোথাও ঘরে ঘরে গিয়ে আবার কোথাও একস্থানে লোক জড়ো করে এসব খাবার বিতরণ করা হয়। খাদ্য সাহায্য বিতরণকালে ফায়ার সার্ভিসের সিলেট বিভাগের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান সশরীরে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। তাকে সহযোগিতা করেন সুনামগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।
প্রতি প্যাকেটের মধ্যে খেজুরের পরিমাণ ছিল ২ কেজি। খাদ্য সাহায্য হিসেবে খেজুর বিতরণের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। শনিবার ছাতক এলাকায় খাদ্য সাহায্য বিতরণের কর্মসূচি নিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের সিলেট বিভাগ।
খাদ্য সাহায্য বিতরণের একপর্যায়ে মো. মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মহাপরিচালক মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় আমরা এই কাজ অব্যাহত রেখেছি। আমরা বন্যার্তদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। যে কেউ বিপদে পড়ে আমাদের স্মরণ করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের পাশে ছুটে যেতে সবসময় প্রস্তুত আছি ইন শা আল্লাহ।’
এর আগে ফায়ার সার্ভিস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পক্ষ থেকেও সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর বিভিন্ন স্থানে ৭৫০ প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়। এসব এলাকার মধ্যে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর, পান্ডারখাল, পূর্ব মাছিমপুর, মাঝিরগাঁও, নইনপুর, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার লোকদের কোথাও একত্রিত করে একস্থানে আবার কখনো ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দেয়া হয়। প্রতি প্যাকেট খাদ্যসাহায্যের মধ্যে ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, খাওয়ার পানি ইত্যাদি।
খাদ্য সাহায্য বিতরণের পাশাপাশি বন্যার শুরু থেকেই বন্যার্তদের স্থানান্তর, আটকেপড়াদের উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছানো, বন্যায় সংকটে পড়া বিদ্যুতের পাওয়ার স্টেশন ও সরকারি খাদ্যগুদামের পানি নিয়মিত সেচ করার মাধ্যমে সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস।
(ঢাকাটাইমস/০১জুলাই/কেএম)