কিশোরগঞ্জের মানব পাচার চক্রের হোতা ঢাকায় গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২২, ১৪:০৯
মানব পাচার চক্রের মূল হোতা ও একাধিক চেক জালিয়াতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ফরিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিযন (র্যাব)।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪ সিপিসি-৩ ভৈরব ক্যাম্প।
কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার ফরিদুজ্জামান একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং আরও একাধিক মামলার পলাতক আসামি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, র্যাবের কাছে খবর ছিল কিছু অসাধু দালাল দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে উন্নত জীবনের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অসহায় গরিব মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছ থেকে ধাপে ধাপে টাকা নিয়ে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। এ ধরনের ঘটনায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থানায় মানবপাচারবিরোধী আইনে মামলা হয়।
মানব পাচার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে মানব পাচার চক্রের মূল হোতা আসামি ফরিদুজ্জামানকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কটিয়াদীর গচিহাটা গ্রামের আখতারুজ্জামানের ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে র্যাব জানায়, ফরিদুজ্জামান সৌদি আরবে মিথ্যা চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে ৬-৭ লাখ টাকা নেয়। পরে মানব পাচার চক্রের সাথে যোগসাজশ করে তাদের সৌদি আরবে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। এ সময় তাদের পরিবারের কাছ থেকে অতিরিক্ত আরো টাকা দাবি করে চক্রটি।
এ ধরনের নানা ঘটনায় ফরিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অন্তত আটটি মামলা হয়। এর মধ্যে একটিতে (সিআর মামলা নং-৮৪(১)১৯) এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩৪ লাখ টাকা জরিমানার রায় দেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ, ৩য় আদালত।
আরেক মামলায় (সিআর মামলা নং-৮৩(১)১৯) ফরিদুজ্জামানকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৮ লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন যুগ্ম দায়রা জজ, ১ম আদালত।
এ ছাড়া আরও ছয় মামলা মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। তিনি পলাতক ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/মোআ)