সাভারে শিক্ষক হত্যা: জিতুর পর বহিষ্কার তার ‘প্রেমিকাও’

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২২, ১৪:৫৯ | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২২, ১৬:০৪

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
আসামি জিতু

সাভারের আশুলিয়ায় প্রভাষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতুর (১৯) পর এক ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। সে একই প্রতিষ্ঠানের  একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। 

শনিবার সকালে দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান। এর আগেরদিন শুক্রবার বেলা ১১টায় জিতুকে বহিষ্কার করা হয়।

গত (৩০ জুন) তার স্বাক্ষরিত আলাদা দুটি বহিষ্কার আদেশ সংবলিত নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

 

আশরাফুল ইসলাম জিতু সম্পর্কিত নোটিশে বলা হয়েছে, গত ২৫ জুন প্রতিষ্ঠানের পৌরনীতি ও সুশাসন বিভাগের প্রভাষক উৎপল কুমার সরকারকে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা ও অবমাননার দায়ে দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জিতুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

ছাত্রীকে বহিষ্কারের নোটিশে বলা হয়, শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যার ঘটনায় আসামি জিতুকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে তার জবানবন্দিতে কলেজে একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর নাম উঠে আসে। ফলে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

 

হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, ঘটনার পরপরই সোমবার (২৭ জুন) স্কুলের শিক্ষক পরিষদের একটি জরুরি সভা হয়। সেখানে জিতুকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নোটিশ আকারে প্রকাশ করা হয়। একই দিন ঘটনার নেপথ্যের বিষয়ে কলেজে একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

২৫ জুন দুপুরে হাজী ইউনুস আলী কলেজে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলার সময় শিক্ষক উৎপলকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে হামলা করে জিতু। ঘটনার পর দ্রুত উৎপলকে হাসপাতালে নিলে ২৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় জিতুর নামে মামলা দায়ের করেন উৎপলের বড় ভাই। ঘটনার চারদিন পর ২৯ জুন জিতুর বাবাকে কুষ্টিয়া থেকে ও জিতুকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/এআর)