শেওলার মতো আগলে ছিলাম: নূতন

বিনোদন প্রতিবেদন, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ জুলাই ২০২২, ১৬:১৮

‘নায়িকা হওয়া আমার জন্য খুব একটা কঠিন কাজ ছিল না। প্রয়াত সুমিতা দেবি- প্রয়াত জহির রায়হানের স্ত্রী আমাকে ছোটবেলা থেকেই নায়িকা বানাবেন বলে তার ইচ্ছা ছিল, আমি তাকে দিদি বলে ডাকতাম। শুটিং দেখতে নিয়ে যেতেন।’

‘এভাবেই একদিন রাজ্জাক ভাইসহ আরও অনেকের সামনে এফডিসি তে সরাসরি ইন্টারভিউ নিলেন। তারপর ‘নতুন প্রভাত’ প্রথম ছবি। এরপর বিখ্যাত ছবি চাষি নজরুল ইসলামের ‘ওরা ১১ জন’, আমি নায়িকা। চেহারা আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভালো ছিল, আর নাচ জানতাম। ব্যাস, নায়িকা হয়ে গেলাম।’

‘তবে নায়িকা হয়ে টিকে থাকা আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। আমি অনেক সাধারণ বুদ্ধির মানুষ। খুব একটা চালাকি বুঝি না। তবে অনেক পরিশ্রমী। যার জন্য ভাগ্য আমার পক্ষে ছিল। চোখের অনেক পানি শুটিংয়ের গ্লিসারিনের সঙ্গে আমার মিশে গেছে। অনেক ছবি থেকে বাদ, ভালো চরিত্র না পাওয়া, এমন অনেক ঘটনা দুঃখ মেকাপে ঢেকে রাখতে হয়েছে। হাসি আর রংবেরঙের পোশাক ছিল আমার দুঃখ মুছে ফেলার মূল অস্ত্র।’

‘কখনো পার্শ্বচরিত্র, কখনো নায়িকা, কখনো মা, কখনো ভিলেন, কখনো টাকা ছাড়া, যেভাবেই হোক শেওলার মতো আগলে ছিলাম। কারণ আমি বিশ্বাস করতাম, আমার পেছনে যাওয়ার পথ নেই। আমার জন্মই হয়েছে যুদ্ধ করে সামনে যাওয়ার জন্য।’

‘যদিও ফিল্মের অবস্থা ভালো হলে আরও নানা চরিত্র করতে পারতাম বা নিজেকে যুদ্ধে ভালো ভাবে সামিল করতে পারতাম। এখনো মনে হয় কিছুই করিনি। এত দ্রুত ফিল্ম শেষ হবে জানলে শেওলা না হয়ে কচুরিপানা হতাম। ভাসতে ভাসতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। কিন্তু দৃশ্যমান থাকতে পারতাম।’

অভিনেত্রী নূতনের ফেসবুক থেকে নেওয়া

(ঢাকাটাইমস/০২ জুলাই/এলএম/এএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :