রাজস্থানের হিন্দু দর্জি হত্যার দুই মাস্টারমাইন্ড গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২২, ১৭:৩৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
ছবি- রয়টার্স

বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর উত্তাল ভারতীয় সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি। তার এই মন্তব্যের জেরে দেশটিতে প্রকট হয়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। সম্প্রতি রাজস্থান প্রদেশে এক হিন্দু দর্জিকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুই মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। খবর রয়টার্সের।

রাজস্থানের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য উদয়পুরে এই হত্যাকাণ্ডের পর রাজ্যজুড়ে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে প্রবল অস্থিরতা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইন্টারনেট ও প্রতিবাদ সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। 

শনিবার স্থানীয় তিন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, উদয়পুরের এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত রাজস্থানের দুই মুসলিম ব্যক্তি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ দুইজনকে মাস্টারমাইন্ড বলে অভিহিত করেছে পুলিশ।

ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার বলেন, এর আগে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছিল, এবার আরো দুই মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেপ্তার করেছি। এখানকার ইন্টারনেট সেবা ধাপে ধাপে পুনর্বহাল করা হচ্ছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সতর্কতা বজায় রেখে চলছে।

কানহাইয়া লাল তেলি নামের সেই হিন্দু দর্জিটি গত সপ্তাহে নিজেরই টেইলারিং দোকানে খুন হন। দুই ব্যক্তি তাকে হত্যা করে ঘটনার ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করে। নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের সমর্থন করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ভিডিওতে তারা দাবি করেছেন।

এদিকে শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ক্ষমতাসীন বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নূপুরের বক্তব্য উস্কানিমূলক এবং তা ভারতকে ধর্মীয়ভাবে বিভক্ত করে ফেলেছে, তাই পুরো জাতির কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।

রাজস্থানের উদয়পুরে হিন্দু দর্জি নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পর সে এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করা মুসলিমরা জানিয়েছেন, তারা আতঙ্কে আছেন। উদয়পুরের প্রভাবশালী হিন্দু বাসিন্দারা তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে একঘরে করতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। 

(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/এসএটি)