গোপালগঞ্জে কোরবানির হাটে নজর কাড়ছে ‘রাজা বাবু’

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২২, ১৭:৪০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গোপালগঞ্জে এবারের কোরবানির হাটে ‘রাজা বাবু’ই সবচেয়ে বড় গরু বলে ধারণা করছেন গোপালগঞ্জবাসী। গরুটির মালিক গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ধানকোড়া গ্রামের ব্যবসায়ী এমদাদুল হক। এমদাদুল হক ও তার স্ত্রী কলেজ শিক্ষিকা ফেরদৌসী খানম স্মৃতি দম্পতি ৩ বছর ধরে লালন পালন করে, আদর করেই গরুটির নাম দিয়েছেন ‘রাজা বাবু’।

তিন বছর আগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ধানকোড়া গ্রামের ব্যবসায়ী এমদাদুল হক ও স্মৃতি দম্পতির পালিত গাভির একটি বাচ্চা জন্ম নেয়। তার পর থেকেই নিজেদের সন্তানের মতই গরুটিকে লালন পালন করে বড় করেন তারা । যার নাম দেওয়া হয়েছে রাজা বাবু। এবার কোরবানির ঈদে গোপালগঞ্জের ক্রেতাদের নজর কাড়ছে এই রাজা বাবু। ১০ ফিট লম্বা ও ৫ ফিট ৮ ইঞ্চি উচ্চতা রয়েছে রাজাবাবুর। ৩ বছর বয়সী এই রাজা বাবুকে সন্তানের মতোই লালন পালন করেছে এমদাদুল হক ও তার স্ত্রী স্মৃতি খানমসহ তাদের পরিবারের লোকজন। রাজা বাবুর খাদ্য তালিকায় রয়েছে কলা, ভূট্টা, খড়, ছোলা, গমের ভূষী, কাঁচা ঘাস। এছাড়াও আদর করে তাকে আম, কাঠাল, মালটা, আপেল সহ বিভিন্ন ফল খাওয়ান গরুটির মালিক এমদাদুল হক। বিশাল এ ষাঁড়ের জন্য প্রতিদিনের বাজেট প্রায় এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকা। গরুটির সৌন্দর্য দেখে অনেকেই মুগ্ধ হন।

আদর-যত্নের পাশাপাশি রাজাবাবুর স্বাস্থ্য সুরক্ষারজন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখেন গরুর মালিক এমদাদুল হক। রাজা বাবুর নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে বাড়ির সবাই সতর্ক থাকেন।

এমদাদুল হক বলেন,  পরম মমতা আর আদর দিয়ে তাকে গড়ে তুলেছি। আজ পর্যন্ত রাজা বাবুর সামান্য সর্দি জ্বর বা অন্য কোনো রোগ বালাই হয়নি। তাকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যেতে হয়নি।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জের রাজা বাবুর দাম হাঁকাচ্ছেন ৯ লাখ টাকা। ‘রাজা বাবু’ই আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে গোপালগঞ্জের সবচাইতে বড় গরু বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। ‘রাজা বাবু’কে দেখতে প্রতিদিনই বাড়িতে ভিড় করেন এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী লোকজন।

পার্শবর্তী জেলা নড়াইল, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, মাদারীপুর, ফরিদপুরসহ বিভিন্নএলাকার গরুব্যবসায়ীরাও আসছেন রাজা বাবুকে দেখতে। দাম-দরও করছেন তারা। এরইমধ্যে গরুটির দাম ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। কিন্তু তিনি অন্তত ৯ লাখ টাকা পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করে দেবেন আদরের রাজা বাবুকে।

এমদাদুল হকের স্ত্রী ফেরদৌসী খানম স্মৃতি বলেন, বিশাল গরুটিকে আমি নিজের সন্তানের মতোই ভালোবাসি। তাকে কখনো কষ্ট পেতে দেইনি।

কাঙ্ক্ষিত দামে শখের রাজা বাবুকে কোরবানির আগে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন গরুটির মালিক এমদাদুল হক।

(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/এআর)