বোয়ালমারীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ইউপি সদস্য, আটক ১

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২২, ১২:১৪ | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২২, ১৪:১৮

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
আটক অভিযুক্ত ধর্ষক মাহাবুব আলম

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ ইউনিয়নের এক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য (মেম্বার) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শনিবার বোয়ালমারী উপজেলার অমৃতনগর গ্রামে ছেলের জন্য পাত্রী দেখতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বোয়ালমারী থানা পুলিশ। 

রবিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় সাত জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ভুক্তোভোগী। 

আসামিরা হলেন, অমৃতনগর গ্রামের মৃত হাকিম মোল্যার ছেলে কাওছার মোল্যা (৫০), পৌরসভার রায়পুর গ্রামের জাহেদ বিশ্বাসের ছেলে লিজন (২২), মো. রেজাউলের ছেলে সাব্বির (১৯), আব্দুল হক বিশ্বাসের ছেলে শাহিদুল (২৭), মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে ফারুক (২৮), হাসেম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল কাদের (৩২) ও প্রধান আসামি রায়পুর গ্রামের ওহেদ বিশ্বাসের ছেলে মাহাবুর আলম। 

থানা সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের একজন মহিলা সদস্য  শনিবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামে পাত্রী দেখতে আসেন। এ সময় রায়পুর শ্মশান ঘাটের পাশে পাত্রীর বাড়িতে নেওয়ার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করে পাত্রীর সন্ধানদাতা মাহাবুর। পরে আরও কয়েকজন যুবক এসে পাত্রীর বাড়িতে নেওয়ার কথা বলে অমৃতনগর নজরুলের বাড়ির পাশে মেহগনি বাগানের নির্জন স্থানে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ শেষে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা অসুস্থ অবস্থায় ওই স্থান থেকে তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় রবিবার (৩ জুলাই) সকালে ওই মহিলা মেম্বার বোয়ালমারী থানায় গিয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। এরপর দুপুরের দিকে প্রধান অভিযুক্ত মাহাবুব আলমকে (৩০) আটক করে পুলিশ। মাহাবুব বোয়ালমারী পৌরসভার দক্ষিণ কামারগ্রাম-রায়পুর এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। তিনি পেশায় মাইক্রোবাসের ড্রাইভার।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ওই মহিলা মেম্বার বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনায় জড়িত মূলহোতা মাহাবুব আলমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যদেরও আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/৪জুলাই/এমআই/এআর)