যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বড় জলপদ্মের সন্ধান

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২২, ১১:৪৮ | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২২, ১১:৫১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলপদ্মের সন্ধান মিলেছে যুক্তরাজ্যের কিউ রয়াল বোটানিক গার্ডেনে। এই প্রজাতিটি ১৭৭ ধরে সবার সামনে থাকলেও এতদিন এটাকে অন্য প্রজাতি ভেবে আসছিলেন উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।

সম্প্রতি প্রজাতিটির ওপর বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা করে জানা গেছে এটি মূলত নতুন একটি প্রজাতি। এর সম্পর্কে বিজ্ঞানে এতদিন বিশদ কিছু ছিল না।

নতুন এই জলপদ্মের পাতা ১০ ফুটের বেশি চওড়া হয়। প্রজাতিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভিক্টোরিয়া বলিভিয়ানা’। এটি এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলপদ্মের স্বীকৃতি পেয়েছে।

উদ্যানতত্ত্ববিদ ও জলপদ্ম বিষয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশেষজ্ঞ কার্লোস ম্যাগডালেনা দীর্ঘ দিন ধরেই সন্দেহ করছিলেন, ‘কিউ রয়াল বোটানিক গার্ডেন’-এর ওই জলজ গাছটি ‘ভিক্টোরিয়া আমাজোনিকা’ ও ‘ভিক্টোরিয়া ক্রুজিয়ানা’ থেকে ভিন্ন প্রজাতির।

‘ভিক্টোরিয়া আমাজোনিকা’ ও ‘ভিক্টোরিয়া ক্রুজিয়ানা’ এই দুটি প্রজাতিও দৈত্যাকার জলপদ্মের প্রজাতি। সেই সন্দেহ দূর করতেই তিনি নতুন প্রজাতিটি নিয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নেন। তার এই কাজের জন্য বলিভিয়ার জাতীয় উদ্ভিদ সংগ্রহশালা সান্তা ক্রুজ বোটানিক গার্ডেনস এবং সরকারি বোটানিক গার্ডেন ‘লা রিনকোনাডা’ থেকে কিউ রয়াল বোটানিক গার্ডেনকে কিছু বীজ দেওয়া হয়।

ম্যাগডালেনার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ‘এর ফলে বাকি দুইটি প্রজাতির সঙ্গে একই পরিবেশে এই গাছটিও জন্মানো সম্ভব হয়। গবেষণার পর স্পষ্টতই দেখা যায় পূর্বের দুই প্রজাতি থেকে এটির প্রতিটি অংশ সম্পূর্ণ আলাদা।’

আবিষ্কারটিকে নিজের ক্যারিয়ারের উজ্জ্বলতম অংশ হিসেবে মনে করছেন এই গবেষক। ম্যাগডেনালের সহকারী হিসেবে ছিলেন, বোটানিক্যাল ইলাস্ট্রেটর লুসি স্মিথ। তিনি ওই প্রজাতির জলপদ্মের বিস্তারিত পার্থক্য তুলে ধরে সেগুলোর বৈজ্ঞানিক চিত্র অঙ্কন করেছেন।

বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ সংগ্রহের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে কিউ রয়াল বোটানিক গার্ডেন্সের। নিজেদের সংগ্রহ প্রদর্শনের লক্ষ্যে ১৮৫২ সালে এখানকার ওয়াটার লিলি হাউজটি নির্মাণ করা হয়। এখানকার দৈত্যাকৃতির জলপদ্মগুলো ১৮শ শতকের দিকে আবিষ্কার হয়। রানি ভিক্টোরিয়ার নামানুসারে এগুলোর নামকরণ করা হয়।

ম্যাগডালেনা তার আবিষ্কৃত নতুন প্রজাতি নিয়ে বলেন, জলপদ্ম নিয়ে এখনও বিজ্ঞানীদের বিস্মিত হওয়া এবং এ বিষয়ে আরও অনেক কিছু জানার বাকি আছে। নতুন প্রজাতির জলপদ্মটি বলিভিয়ার বন্য পরিবেশে দেখতে পাওয়া যায়।

(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/এসএটি)