গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডে আসিফ নজরুল ও ফরিদা আখতার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এবং বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন সদস্য মনোনীত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ভবনের মেজর হায়দার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের ৪৬তম সভায় এ মনোনয়ন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টি বোর্ড সভাপতি অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক ও ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময়ে জার্মানির বন শহরের এনভাইরনমেন্টাল ল সেন্টার থেকে পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন করেন।
তিনি স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে একজন কমনওয়েলথ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদানের আগে একটি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘বিচিত্রা’য় কাজ করতেন। কিছু সময় বাংলাদেশ সরকারের একজন সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে কাজ করেছেন।
ড. আসিফ নজরুল টিভি টকশো ও কলামিস্ট হিসেবে রাজনীতি বিশ্লেষণের জন্য বিশেষভাবে খ্যাত। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, আইনের শাসন, পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার হারলা গ্রামে জন্ম নেওয়া ফরিদা আখতার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেন। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের অবস্থা জানা এবং পরিবর্তনের জন্য নীতিনির্ধারণী গবেষণা ও লেখালেখিই তার কাজের প্রধান জায়গা। নারী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্যসম্পদ, তাঁতশিল্প, গার্মেন্টস শিল্প ও শ্রমিক, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নমূলক বিষয়ে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে কাজ করছেন তিনি।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে পরিচালিত কার্যক্রমের মারাত্মক কুফল ও নারী স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে লেখালেখি এবং প্রতিকার আন্দোলের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সুপরিচিত ফরিদা আখতার। তিনি বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/মোআ)