পোশাক মালিকরা সমৃদ্ধ দেশ গঠনে অবদান রাখবেন, প্রত্যাশা স্পিকারের

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২২, ২০:৫৮ | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২২, ২০:৫৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, রপ্তানিমূখী পোশাক শিল্প মালিকরা সময়োপযোগী পরিবর্তনকে ধারণ করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

মঙ্গলবার রাজধানীতে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তাকিারক সমিতির (বিজিএমইএ) নতুন রূপকল্প উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিজিএমইএর নতুন লোগো উন্মোচন করেন। 

স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি আজ মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য আধুনিক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন। তাই আশা করি- রপ্তানিমূখী পোশাক শিল্প মালিকরা সময়োপযোগী পরিবর্তনকে ধারণ করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সহসভাপতি মিরান আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন,  ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড সময়ে পোশাকখাতে যেভাবে প্রণোদনা দিয়েছেন, বিরূপ পরিস্থিতিতেও দেশকে স্বাভাবিক রেখেছেন, তা পোশাকখাতের বিকাশে সহায়তা করেছে।’

স্পিকার বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। পোশাক রপ্তানি থেকে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার আয় এই ধারাবাহিক উন্নতির সুফল।’

স্পিকার বলেন, ‘বিজিএমইএর ৪০ বছরের সফল পথচলার কারণেই পোশাকখাতে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে এ ধরনের অর্জন দেশকে গৌরবান্বিত করে। আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘পোশাক শিল্প কারখানার মালিকরা ২০৩০ সালে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। সেই লক্ষ্যে তারা পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি সম্প্রসারণের কাজ করছেন।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘সদ্যসমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি অর্জন করতে পারাটা অনেক বড় অর্জন।’

‘শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পণ্য বহুমূখীকরণ, বাজার বহুমূখীকরণ, ফাইবার বহুমূখীকরণ, দক্ষতা উন্নয়ন, ইনোভেশন ও টেকনোলজি আপগ্রেডেশনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।

ফারুক হাসান বলেন, ‘রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে সাধারণ পোশাকের পাশাপাশি উচ্চ মূল্যের বা ব্যতিক্রমী পোশাক তৈরিতে কারখানার মালিকদের নিয়মিত উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।’

(ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/বিএস/কেএম)