এক রাত কারাবাসের পর জামিনে মুক্ত বনমন্ত্রীর জামাতা

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২২, ২১:৩১ | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২২, ২১:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনপূর্ব সহিংসতার মামলায় কারাগারে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মাথায় জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের জামাতা গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল।

 

এর আগে সোমবার তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।

 

একদিনের মাথায় মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাহেলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। 

 

জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম দীর্ঘ শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। কারাগারে ছিলেন তিনি একরাত।

 

হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার জয়নাল আবেদীন ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল নবীগঞ্জ শহরের হাসপাতাল সড়কের মৃত গোলাম রব্বানীর ছেলে ও পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের মেয়ের স্বামী।

 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের পৌর নির্বাচনের আগের দিন ১৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরীর লোকজনের ওপর হামলা করেন। এক পর্যায়ে ছাবির আহমেদ চৌধুরীর চাচাত ভাই শফিক আহমেদ চৌধুরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন রাহেল চৌধুরী।

 

 এতে শফিক চৌধুরীর নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায়। দ্রুত তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। 

 

এ ঘটনায় বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরীর চাচাত ভাই হাদিছ মিয়া চৌধুরী বাদী হয়ে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে গত ৩০ মার্চ চার্জশিট প্রদান করে পিবিআই। চার্জশিট আদালতে গৃহীত হওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়।

 

আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্ত টিটু ও বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান ও অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন জুয়েল। 

 

উভয়পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শেষে জলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম রাহেলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ।

 

এ প্রসঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্ত টিটু বলেন, আমরা আদালতে বিভিন্ন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি তার মধ্যে অন্যতম হলো, সিআইডি প্রথমে মামলাটি মিথ্যা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিয়েছে, পরবর্তীতে দ্বিতীয়বার পিবিআই সত্য বলে প্রতিবেদন দেয় এবং ঘটনাটি ঘটেছে রাতে কে বা কারা রাতের আঁধারে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা সঠিকভাবে কেউ দেখেনি। সবকিছু বিবেচনা করে আদালত আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।

 

(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/এআর)