পুঁজিবাজারে ঢুকছে নতুন বিনিয়োগ, অনেক বড় হবে বাজার?

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২২, ০৯:৩৪ | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২২, ১২:০৫

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পুঁজিবাজারে ঢুকছে নতুন বিনিয়োগ। অনেক বড় হবে বাজার- এমন আশায় বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা। পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারাও অপেক্ষায় আছেন নতুন বিনিয়োগের। খুব দ্রুতই বাজার আরো বেশি ইতিবাচক ধারায় ছুটবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

সম্প্রতি বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘দিন দিন দেশের পুঁজিবাজারের ব্যাপারে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে। পুঁজিবাজারের পরিবেশ অনুকূল মনে করছেন এখন অনেকেই। তাই অনেক বড় ও লাভজনক কোম্পানি বাজারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী দুই বছরে বেশ কিছু কোম্পানি বাজারে আসবে।’

বহুজাতিক কোম্পানি ও বড় বড় শিল্প গ্রুপকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার ব্যাপারে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আর কিছুদিনের মধ্যে অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে বলেও জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান।

এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডন গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট দেশের পুঁজিবাজারে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করবে। এতে বাজারে এ তারল্য প্রবাহ বাড়বে। আর তারল্য প্রবাহ বাড়লে বাজার গতিশীল হবে, যা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণও অনেক বড় হবে বলে জানা গেছে।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুঁজিবাজারের গতি ফেরাতে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ মুহূর্তে বিদেশি বিনিয়োগ বাজারের জন্য খুবই ইতিবাচক হবে। বিনিয়োগকারীদের মনে তা আশার সঞ্চার করবে। সবার মনে আবারও চাঙাভাব ফিরে আসবে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজার ওঠানামার মধ্য দিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বর্তমানে বাজার যে অবস্থায় আছে তা কোনোভাবেই নেতিবাচক বলা যাবে না। বাজারের স্বাভাবিক চিত্রই হচ্ছে একটু উঠবে আবার একটু নামবে। 

তারা বলছেন, যখন বাজার উঠে তখন সবাই খুব খুশি হয়। তাহলে পড়ে গেলে কেন সবাই সেটাকে পতন বলে? এটাই তো স্বাভাবিক চিত্র বাজারের। এর মধ্যে নতুন নতুন বিনিয়োগ আসছে। বাজারের আকার দিন দিন বড় হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। তাহলে আশা করা যায় সামনে আরো অনেক বড় হওয়ার সুযোগ আছে। 

এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশীদ লালী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বিনিয়োগ পুঁজিবাজারের জন্য সব সময়ই ভালো। সেটা দেশি হোক বিদেশি হোক। যেহেতু বিদেশি বড় একটা বিনিয়োগ বাজারে আসতে যাচ্ছে সেহেতু আশা করা যায় এটা বাজারের জন্য অনেক ইতিবাচক হবে।’

এ নিয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে জানা গেছে, জুলাই মাসে এই বিনিয়োগ দেশের পুঁজিবাজারে আসবে। তবে বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ কত হবে তা জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে অঙ্কটা বেশ বড় হবে।

ইতিবাচক ধারায় ছুটছে পুঁজিবাজার:

সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে পতন হলেও মঙ্গলবার উত্থানে ফেরে পুঁজিবাজার। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক বাড়তে দেখা যায়। সূচকের সঙ্গে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও বাড়ে।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫.২৫ পয়েন্ট বা ০.৩৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ছয় হাজার ৩৭২.১৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪.০৮ পয়েন্ট বা ০.২৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৭.৯৬ পয়েন্ট বা ০.৭৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে এক হাজার ৩৮৯.২৫ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩০১.৯১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে এদিন টাকার পরিমাণে লেনদেন হয় ৯৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৯৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবসে ৬৬২ কোটি ৬১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল।

ডিএসইতে এদিন ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬০টির বা ৪১.৮৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বাড়ে। দর কমে ১৫৯টির বা ৪১.৬২ শতাংশের এবং ৬৩টি বা ১৬.৪৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত থাকে।

(ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/বিএস/এফএ)