অনন্ত বিজয় হত্যায় প্রাণে দণ্ডিত ফয়সাল আহমদ ভারতে গ্রেপ্তার
ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফয়সাল আহমদ ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ভারতের কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে গ্রেপ্তারের পর তাকে কলকাতায় আনা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে আনন্দবাজার।
দৈনিকটি এক প্রতেবেদনে বলেছে, বেঙ্গালুরুর বোম্মনাহাল্লিতে ১ জুলাই ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে ৩ জুলাই নেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়। তাকে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নুরানি আবাসিক এলাকায় নিজ বাসা থেকে কয়েক গজ দূরে দিনদুপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় অনন্ত দাশকে। পেশায় ব্যাংকার অনন্ত ব্লগে বিজ্ঞানবিষয়ক লেখালেখি করতেন। পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করতেন তিনি।
গত ৩০ মার্চ সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবুল হোসেন (২৫), ফয়সাল আহমদ (২৭), মামুনুর রশীদ (২৫), আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫)।
ফয়সাল আহমদের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ। আবুল হোসেনের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায়। মামুনুর রশীদের বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরে (বাগলী)। আবুল খায়ের রশীদ আহমদের বাড়ি কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামে।
হত্যাকাণ্ডের পর অনন্ত বিজয়ের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করা হয়। বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়।
পরে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হলে তদন্তের পর পরিদর্শক আরমান আলী ২০১৭ সালের ৯ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সন্দেহজনকভাবে আটক ১০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলায় ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন। ছয় আসামির মধ্যে মান্নান রাহী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তিনি ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান।
(ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/ডিএম)