অনুষ্ঠান কমেছে তাই কদর কমেছে ফুলেরও

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২২, ১৬:১৬ | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২২, ১৭:২৭

আকিবুর রহমান, ঢাকাটাইমস

উৎসবাদি কম থাকা আর সামাজিক অনুষ্ঠান তেমন একটা না হওয়ায় কদর কমেছে ফুলের। চাহিদা না থাকায় দাম কমিয়েও ব্যবসা ভালো হচ্ছে না বলে ভাষ্য ফুল বিক্রেতাদের।

রাজধানীর যে কটি স্থানে সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রি হয় তার একটি শাহবাগ। এখানকার অর্ধশতাধিক ফুলের দোকানে বিক্রি হয় নানা ধরনের ফুল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গেল জুন থেকে ফুল বিক্রি কমেছে। এমন দিনও গেছে কয়েকশ টাকার ফুল বিক্রিও হয়নি।

বুধবার কালাম নামের এক ফুল বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। বিক্রি কেমন চলছে? কালাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সামনে কোরবানির ঈদ। মানুষ গরু কেনায় ব্যস্ত। সকাল থেকে বসে আছি, কানাকড়িও বিক্রি হয়নি।

ফ্লাওয়ার গার্ডেন নামে একটি দোকানের বিক্রেতা মহিদ ভূইয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এখন ফুলের দাম কম কারণ চাহিদা নাই। বিয়ে অনুষ্ঠান আগের থেকে কমে গেছে। আমরা ক্ষতির ওপর ব্যবসা চালাচ্ছি।’

শাহবাগে কোন কোন ফুল বেশি বিক্রি হয়? দোকানিরা বলছেন, উপহারের জন্য আগে থেকে বক্স করে রাখা বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাহিদা বেশি। এছাড়া রজনীগন্ধা প্রতি স্টিক এখন ১৫/২০ টাকা; লাল গোলাপ আকার ভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ী মহিদ বলেন, ‘করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকেই ফুল ব্যবসায় ভাটা। এখন কোরবানির ঈদের জন্য বিয়ে অনুষ্ঠান কম। তাই ফুলের চাহিদা প্রায় নেই। ঈদের পর ভালো ব্যবসার আশায় আছি।’

দোকানে বসে মালা গাঁথছিলেন ঝর্ণা বেগম নামে এক মধ্যবয়সী নারী। তার সঙ্গে অল্পবয়সী তিনজন কিশোর বয়সী মেয়ে। কেমন কাটছে দিন? প্রশ্ন ছিল ঝর্না বেগমের কাছে।

ঢাকা টাইমসকে ঝর্না বলেন, ‘ব্যবসা ভালো নাই। তাই আমাদেরও আয়রুজি কম। বড় বড় উৎসব হলেই আমাদের আয়টা ভালো হয়। রজনীগন্ধ্যা, কাঠবেলীসহ বিভিন্ন ফুল দিয়ে মালা তৈরি করছি। ঢাকার বাইরে থেকে কিছু কাস্টমার আসে তারা হয়ত কিনতে পারে।’

শাহবাগের ফুটপাতে বসে মালা গাঁথছিলেন ষাটোর্ধ আনোয়ারা বেগম। নাতিকে দিয়ে গাড়িতে গাড়িতে বিক্রি চেষ্টা আনোয়ারার। কেমন আয় দিনে? মলিন মুখে আনোয়ারার জবাব, দুইদিন ধরে চালান উঠছে না তার।

ঢাকা টাইমসকে এই নারী বলেন, ‘এক কেজি রজনীগন্ধ্যা ফুলে মালা হয় ১৮ থেকে ২০ টার মতো। মঙ্গলবার চারশ টাকা কেজিতে ফুল কিনে সারাদিনে ৩০০ টাকা বিক্রি করেছি। লাভের টাকা কই বলেন?’

(ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/ডিএম)