মাদ্রাসা শিক্ষকের মাথা ন্যাড়ার করার অভিযোগ অপর শিক্ষকের বিরুদ্ধে

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২২, ২০:২০

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় হাফেজ মো. মনিরুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ উঠছে অপর এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, উপজেলার মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেট মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থী ফুসলিয়ে নিয়ে অন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করার অভিযোগ এনে ওই শিক্ষকের মাথা ন্যাড়া করা হয়।

বাউফল পৌরশহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের হাজী সড়ক এলাকায় বাউফল মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. আনিচুর রহমানের নির্দেশে মাওলানা মো. জসিম উদ্দিন ওই শিক্ষককের মাথা ন্যাড়া করেন।

বুধবার  এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ঘটনা শিকার মো. মনিরুল ইসলাম ভোলা সদর উপজেলার আলী নগর গ্রামের আবদুল মান্নান মিয়ার ছেলে। ও চাঁদপুর সদর উপজেলার লাউতলী জামিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক।

জানা গেছে, হাফেজ মো. মনিরুল ইসলাম বাউফল মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেট মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে চাকরি করতেন। একজন ভালো শিক্ষক হিসাবে ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে তার সুনাম ছিল। ওই মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. আনিচুর রহমানের সঙ্গে তার মতবিরোধ দেখা দিলে সম্প্রতি তিনি চাকরি ছেড়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার লাউতলী জামিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। তিনি চলে যাওয়ার পর কয়েকজন ছাত্র ওই মাদ্রাসা ছেড়ে অন্য মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি হন।

এক মাস আগে বাউফল পৌরশহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন তার ছেলে মুজাহিদুল ইসলামকে (৮) উপজেলার মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেট মাদ্রাসা ছেড়ে হাফেজ মনিরুল ইসলামের চাঁদপুরের মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন বাউফল মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেড মাদ্রাসার পরিচালক  মাওলানা আনিচুর রহমান। তার ধারণা শিক্ষক হাফেজ মনিরুল ইসলাম ওই ছাত্রকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে চাঁদপুর তার মাদ্রাসায় ভর্তি করেছেন।

এরপর মাওলানা আনিচুর রহমান অভিভাবক পরিচয়ে অন্য একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে হাফেজ মনিরুল ইসলামকে কয়েকজন ছাত্র দেওয়ার নামে চাঁদপুর থেকে গত ৩ জুলাই বাউফলে ডেকে আনে। একপর্যায়ে হাফেজ মনিরুলকে মাদ্রাসা কক্ষে আটকে রেখে মারধর করেন। এরপর তার নির্দেশে মাওলানা জসিম উদ্দিন নামের অপর এক শিক্ষক মনিরুল ইসলামের মাথা ন্যাড়া করে দেন এবং তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ও সাড়ে ৪ হাজার রেখে রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন।

বুধবার ওই শিক্ষকের মাথা ন্যাড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়।

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাওলানা মো. আনিচুর রহমান ও মাওলানা মো. জসিম উদ্দিনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন বলেন, উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ বুধবার দুপুরে মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেড পুলিশ অভিযান চালায়। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/৬জুলাই/এআর)