চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ, লোডশেডিংয়ে জেলাবাসী অতিষ্ঠ

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২২, ২১:৪০ | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২২, ২১:৪২

শওকত আলী, চাঁদপুর

চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন হঠাৎ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে চাঁদপুর জেলায় পূর্বের চাইতে অতিরিক্ত বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জেলাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গ্যাসের সমস্যা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন, চাঁদপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।

গত কয়েক দিনের লোডশেডিংয়ে চাঁদপুরের অফিস, ব্যাংক-বিমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমসহ জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও ব্যাহত হচ্ছে, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত।

চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকার শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার ও মাহিম বলেন, দুদিন ধরে ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাচ্ছে। এতে আমরা পড়াশোনা করতে পারছি না। প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরেও বসে থাকা যাচ্ছে না। বিশেষ করে, রাতে লোডশেডিং বেশি হওয়ায় ঘুমানোই যাচ্ছে না। আমরা এই সমস্যার নিরসন চাই।

শহরের নাজিরপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মামুন তালুকদার বলেন, একবার বিদ্যুৎ গেলে ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেও আসে না। কিন্তু আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিদ্যুৎ ছাড়া চালানো সম্ভব না। লোকজন এসে ফিরে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চাঁদপুর শহরের ১৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ থাকায় এই অঞ্চলে লোডশেডিং বাড়ার অন্যতম কারণ। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। যদিও ডাকাতিয়ার অপর প্রান্তে ইচলী এলাকার ‘চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড’নামে একটি প্রাইভেট বিদ্যুৎকেন্দ্রে অল্প পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তবে তা সীমিত।

চাঁদপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, উৎপাদন সমস্যার কারণে সারাদেশেই বিদ্যুৎ স্বল্পতা রয়েছে। চাঁদপুরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিন দিনের বেলায় ১৮ মেগাওয়াট ও রাতে ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা। জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ কম পাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে দিনে ১২ মেগাওয়াট আর রাতে ১৪ মেগাওয়াট দেয়া হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/এলএ)