খাদ্য প্যাকেজিং নিরাপত্তায় সেগওয়ার্কের টলুইনমুক্ত কালি

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২২, ২২:১৮ | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২২, ২২:৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ভোক্তাদের খাদ্যের প্যাকেজিং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টলুইনমুক্ত কালির ব্যবহারের তাগিদ দিয়েছে খাদ্য প্যাকেজিংয়ের রঙ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেগওয়ার্ক।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় টলুইনমুক্ত ছাপার কালির গুরুত্বও তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির এশিয়ার প্রেসিডেন্ট আশীষ প্রধান। অংশীজনদের মধ্যে টলুইনের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করাই ছিল এই সংবাদ সম্মেলনের উদ্দেশ্য।

নিরাপদ প্যাকেজিং ইংকের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সেগওয়ার্ক দীর্ঘ সময় ধরে সচেতন বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি। নিরাপদ কালি তাদের কার্যক্রমের একটি প্রধান নীতি বলেও জানানো হয়। সেই সঙ্গে পণ্য নিরাপত্তার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় এবং এই বিষয়ে কাজ করার জন্য তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দলও রয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটির এশিয়ার প্রেসিডেন্ট আশীষ প্রধান।

বিষাক্ততার কারণে টলুইন বিশ্বব্যাপী পরিচিত। নানা ধরনের ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে এটি ভোক্তা, পেশাগত ও পরিবেশগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে। ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টলুইনকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএমআর ক্যাটাগরি ২ (সন্দেহ করা হয় যে, এটি অনাগত সন্তানের ক্ষতি করতে পারে) হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করেছে।

এছাড়া টলুইনযুক্ত কালি দিয়ে ছাপানো হলে অবশিষ্ট টলুইন প্যাকেজ খাদ্য বা পানীয়ের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এটি পণ্যের অর্গানোলেপটিক বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করে, যা খাদ্যের মান, নিরাপত্তা, এমনকি আইনি সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। এসব কারণে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডের স্বত্ত্বাধিকারীরা তাদের পণ্যের খাদ্য প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে টলুইনের ব্যবহার সীমিত বা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছেন।

সেগওয়ার্ক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট আশীষ প্রধান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সব কার্যক্রমে নিরাপদ কালি ব্যবহার করার ব্যাপারে সেগওয়ার্ক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এর ফলে পৃথিবীজুড়ে সেগওয়ার্কের কারখানাগুলোতে টলুইনমুক্ত কালি উৎপাদনেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

আশীষ প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রাহকরাও আমাদের এই প্রতিশ্রুতির আওতাভুক্ত। শুরু থেকেই সেগওয়ার্ক বাংলাদেশ গ্রাহকদের টলুইনমুক্ত কালি সরবরাহ করে আসছে সেগওয়ার্ক।’

সেগওয়ার্ক একটি ষষ্ঠ প্রজন্মের পারিবারিক মালিকানাধীন কোম্পানি। প্যাকেজিং, লেবেল ও কোটিংয়ের জন্য প্রিন্টিং ইংক ও কোটিং উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। ১৮০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্বৃদ্ধ কোম্পানিটির নানা ধরনের প্রিন্টিং পদ্ধতি নিয়ে যথেষ্ট দক্ষতা ও জ্ঞান রয়েছে। এই বৈশ্বিক উৎপাদনকারী ও পরিষেবা নেটওয়ার্কটি গ্রাহকদের নিয়মিত উন্নত মানের পণ্য ও সেবা দিয়ে আসছে।

‘কালি, হৃদয় ও আত্মা (Ink, Heart and soul)’ নিজেদের এই দর্শনের কথা মাথায় রেখে সেগওয়ার্ক তার ব্যবসায়িক পার্টনারদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। পৃথিবীজুড়ে সেগওয়ার্কের ৩০টির বেশি দেশের সংস্থায় প্রায় পাঁচ হাজার জনশক্তি কর্মরত আছে।  

 (ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/কেআর/কেএম)