আফতাবনগর ও বনশ্রী পশুর হাট ক্রেতাশূন্য

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২২, ২৩:২৮ | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২২, ১১:০৬

পুলক রাজ, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর আফতাবনগর ও বনশ্রী পশুর হাট এখনও অনেকটা ক্রেতাশূন্য। বুধবার (০৬ জুলাই) সরেজমিনে এই দুই হাট ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা বিভিন্ন পশু নিয়ে এসেছেন। ডাকাডাকি করেও ক্রেতাদের কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া নেই। এখন পর্যন্ত যে সংখ্যক পশু হাটে এসেছে এগুলো বিক্রি হলে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত আরও দেশি-বিদেশি পশু আসবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাটে ক্রেতার আগমন খুবই কম থাকায় বিক্রেতারা সন্তুষ্ট নয়। ফলে অলস সময় কাটাচ্ছেন তারা। হাটে ব্যবসায়ীরা অনেক পশু নিয়ে এসেছেন। তবে এখনও বিক্রি শুরু হয়নি। ঈদের আগের দিনের অপেক্ষায় আছেন বিক্রেতারা।

কিশোরগঞ্জ থেকে মিজানুর রহমান নামে এক গরু বিক্রেতা ২০টি গরু আফতাবনগর গরুর হাটে নিয়ে এসেছেন।

গরু বিক্রেতা মিজানুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমি কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছি না। আফতাবনগর গরুর হাট খুবই মন্দা। আমি ভেবেছিলাম রাজধানীর আফতাবনগর গরুর হাটে বেচাকেনা ভালো হবে। কিন্তু তার উল্টো ঘটেছে একদমই ক্রেতা নেই এই হাটে। আমার পালিত ২০টি গরু এনেছি, এর মধ্যে ৩টি গরু বিক্রি করার পর ১৭টি গরু রয়েছে বিক্রি করার বাকি। এই ১৭টি গরু বিক্রি না করতে পারলে আমার অনেক বেশি লোকসান হয়ে যাবে। গরু আনতে ট্রাক ভাড়া, রাস্তার খরচসহ নিজেদের থাকার খরচ তো আছেই। সবকিছু মিলিয়ে এবার গরুর দাম বেশি। ফলে ক্রেতাদের আগমন নেই বললেই চলে।

গরু বিক্রেতা আলম মিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমি বনশ্রী হাটে আমার পালিত ১৫টি গরু কোরবানি ঈদে বিক্রি করার জন্য এনেছি।  গরু বিক্রি করতে মহাবিপদে আছি। পশুর খাদ্যের খরচ অতিরিক্ত বেড়েছে। ফলে বেশি দামে ক্রেতাদের গরু কিনতে হবে। আমাদেরকেই বেশি দামে গরু কিনতে হয়েছে। এর মধ্যে ক্রেতারা পশুর হাটে একদম কম আসা যাওয়া করছেন। যারা আসছেন তারা দামাদামি করে চলে যাচ্ছেন। তবে গতকাল ৭০ হাজারে একটা গরু বিক্রি করেছি। অন্য বছর কোরবানির বাজার জমজমাট থাকে। ক্রেতাদেরও ভিড় থাকে। কিন্তু এ বছর ক্রেতা একদম কম। তবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত অপেক্ষায় আছি ভালো কিছুর আশায়।

গরু দেখতে আসা ফয়জুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ঈদের আগের দিন গরু কিনবো। প্রতিদিনই একটা না একটা পশুর হাটে যাচ্ছি। আজ  বনশ্রী গরুর হাট ঘুরে আফতাবনগর হাটে এসেছি। এবার গরু প্রচুর ওঠেছে পশু হাটগুলোতে। বিক্রেতার প্রতি বিশ্বাস ওঠে গেছে। কারণ রোগা গরু নিয়ে আসে হাটে। তো আমার মনে হচ্ছে এবার ক্রেতারা আমার মতো যাচাই-বাছাই করে কিনবে কোরবানির গরু।

(ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/পিআর/কেএম)