আনন্দ-উদ্দীপনায় ঈদুল আজহা উদযাপন

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০২২, ১৮:৪৮ | আপডেট: ১০ জুলাই ২০২২, ১৮:৫২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। সকালে ঈদের জামাতে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে কোলাকুলির মা্ধ্যমে ঘোষিত হয় সাম্য, সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বের মহিমা। এরপর আল্লার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।

দুই বছরের করোনা বিধিনিষেধ শেষে এবার চিরাচরিত রূপে ফিরেছে ঈদের আনন্দ-উৎসব। দুই বছর পর জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাত হয় সকাল ৭টায়।

সকাল সাতটা থেকে বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়ক, অলি-গলি সর্বত্র কোরবানি হতে থাকে গরু কিংবা খাসি। কিশোর-তরুণ-বৃদ্ধ সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোরবানির পশুর মাংস কাটাকুটিতে লেগে যায়। বিভিন্ন এলাকায় পশু জবাইয়ের চিত্র বলছে, গতবারের চেয়ে এবার পশু কোরবানি হয়েছে বেশি।

করোনা সংক্রমণের ভয়ে গত দুই বছর ঈদে ঘোরাঘুরি করতে পারেনি বাচ্চারা। এবার সকাল থেকেই পশু কোরবানি দেখার পাশাপাশি এবাড়ি-ওবাড়ি, এপাড়া-ওপাড়া করতে দেখা যায় ছোট ছেলেমেয়েদের।

দুপুর না গড়াতেই কোরবানির মাংসের রান্নার ম-ম গন্ধ ছড়াতে থাকে এলাকার বাসাবাড়ির আশপাশে। শুরু হয় আপ্যায়ন। একই সঙ্গে চলে আত্মীয়, পাড়া-পড়শির জন্য মাংস পৌঁছে দেওয়ার ব্যস্ততা।

ঈদের ছুটিতে রাজধানী গতকাল রাজধানী অনেকটা ফাঁকা ছিল। আজ ঈদের দিনে বিশেষ করে দুপুরের পর রাজধানীর সড়কগুলো মানুষ ও যানবাহনের বেশ ভিড়। গণপরিবহনের বেশির ভাগ যাত্রী মাংস নিয়ে ছুটছেন আত্মীয় বাড়ির দিকে।

এই ধর্মীয় উৎসব ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব আর সাম্যেরও উপলক্ষ। সবার মাঝে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মধ্যেই এর সার্থকতা নিহিত। আসমানি কিতাব আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না এগুলোর গোশত ও রক্ত, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।' (সূরা আল-হজ, আয়াত-৩৭)।

ঈদের আনন্দ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে দেশের বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ পরবর্তী জাতির উদ্দেশে দেয়া এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে দুপুরের পর তরুণ-তরুণীদের সেজে-গুজে দল বেঁধে বেরোতে দেখা গেছে। তাদের গন্তব্য বন্ধু-বান্ধবীর বাড়ি কিংবা নগরীর বিনোদন স্পটগুলো।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল থেকে তিন দিনের সরকারি ছুটি চলছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি গেছেন ঈদ উদযাপন করতে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর অনুযায়ী, সারা দেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা।

ঈদ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশের বিনোদন কেন্দ্রগুলো তৈরি হয়ে আছে নানা পসরা সাজিয়ে। কাল দিনভর বিনোদন পিয়াসীদের সমাগমে কেন্দ্রগুলো মুখর থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

আজ বিকালে রাজধানীর হাতিরঝিল, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে বেশ ভিড় দেখা গেছে।

(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/মোআ)