চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়ায়, ভোগান্তি ছাড়াই কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২২, ১৩:১৪

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের ঈদ ফেরত কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ।

আগামীকাল শনিবারও এ চাপ অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

তবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরির সংখ্যা বেশি থাকায় ঘাটে এসে কোন গাড়ির চালককে আর 

যানবাহনের কোনো সারিতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।  নেই  চিরচেনা কোন সিরিয়াল। ফলে ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা। আর নির্বিঘ্নে পার হচ্ছে যানবাহন।

তবে অনেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ঘাটে ফেরির টিকিট বিক্রেতা সরকারি ভাড়া ৩০ টাকা স্থলে ৪০/৪৫ টাকা করে আদায় করছে। তবে কেউ ওই বাড়তি ভাড়া ছাড়া ফেরিতে উঠতে পারছেনা।

যাত্রীরা বলে, ভিড় ছাড়াই সহজে ফেরিতে নদী পার হতে পারছি, এতে ঘাটের ওরা ৫/১০ টাকা বেশি নিলেও অভিযোগ করার সময় নেই।

এছাড়াও কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও মাগুড়া যশোর পথে যানবাহন কম থাকায় বাস ও থ্রিহুইলার চালকরা আগের চেয়ে ২/৩ গুন বেশি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ করেন। ফরিদপুর থেকে দৌলতদিয়ার আগের ভাড়া ৪০টাকা হলেও এখন ১৫০টাকা, কুষ্টিয়ার ভাড়া ১০০টাকার স্থলে ৩০০ টাকা করে নিচ্ছে বাস চালকরা। তাদের যুক্তি হল দৌলতদিয়া ঘাট থেকে খালি আসতে হয়। তাই পুশায়ে নেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান   জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৬ ফেরি চলাচল করছে। এরমধ্যে বড় রো রো ফেরি ৯টি, ছোট ইউটিলিটি ছয়টি ও ঢাকা ফেরি একটি। 

গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করে নদী পার হয়েছে তিন হাজার ৪২৯টি যানবাহন। এরমধ্যে বাস ৭২১টি, ট্রাক ৫০৫টি, ছোট গাড়ি এক হাজার ৪২১টি ও মোটরসাইকেল ৭৮২টি। শুক্রবারও প্রায় চার হাজার গাড়ি পার হতে পারে। তবে গত বছর এই ঈদে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে আট হাজারের ওপর যানবাহন পার হত।

শুক্রবার সকালে  দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়বে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটি শেষে চাপ বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের। ফলে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে। অপেক্ষা ছাড়াই যানবাহনগুলো ফেরির নাগাল পাচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকবে।

তবে ঘাটে পযাপ্ত লঞ্চ থাকলেও যাত্রীরা ভরা বর্ষায় নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় লঞ্চে উঠতে চায় না।

ঢাকামুখী যাত্রী মাসুদ রহমান, সোহেলী আক্তার ও ছবদুল খাসহ কয়েকজন বলেন, ‘গরম ও ধাক্কাধাক্কি থেকে বাঁচতে সকাল সকাল রওনা হয়েছি। সড়কে ও ঘাটে কোনো ভোগান্তি হয়নি। ঈদের আগে ভালোভাবে বাড়ি গিয়েছিলাম। এখন আবার ভালোভাবেই ঢাকায় ফিরছি।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এসএ)